২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
করোনায় বন্ধ ১০ হাজার স্কুল

পৃষ্ঠপোষকতা দরকার

-

করোনার সময় দেশের শিক্ষা খাতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি হয়েছে দু’ভাবে- এক. করোনার প্রায় দুই বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের শেখার ঘাটতি থেকে গেছে। বর্তমানে এ ঘাটতি উৎকটভাবে দৃশ্যমান হয়েছে। বিশেষ করে শিশুশিক্ষার্থীদের পাঠের অভ্যাস ফিরিয়ে আনা কঠিন হচ্ছে। শিক্ষক-অভিভাবক উভয়ে এ নিয়ে বাড়তি চাপে পড়েছেন। দুই. আর্থিক সঙ্কট ও প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী না পাওয়া বেসরকারি বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে হাজারো কিন্ডারগার্র্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও দেশের সরকারি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি। এক পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এখন সাড়ে ৬৫ সহস্রাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তবে বেসরকারি খাতের অনেক স্কুল আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ বেসরকারি বিদ্যালয়ের সংখ্যা কিন্তু কম নয়।
কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের তথ্যমতে, করোনা ও করোনাপরবর্তী বন্ধ হয়ে গেছে ১০ সহস্রাধিক স্কুল (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক)। মহামারীর সময় এক বছর সময়ের ব্যবধানে এসব স্কুলের শিক্ষাকার্যক্রম গুটিয়ে নেয়া হয়। সম্প্রতি অ্যানুয়াল প্রাইমারি এডুকেশন সেনসাস রিপোর্টেও (এপিএসসি) বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব স্কুলের তথ্য উঠে এসেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে বন্ধ হওয়া বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা আট হাজার। সংখ্যার হিসাবে যাই হোক না কেন, গত দুই বছরে অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে- এ কথা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ স্বীকার করেছেন। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে করোনার সময় শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, ২০২১ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৮ হাজার। কিন্তু ২০২২ সালে সে সংখ্যা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজারের কম। অর্থাৎ এ সময়ে আট হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
করোনার সময়ে বেসরকারি স্কুলের বা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মালিকদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় করোনাকালে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক কোনো প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। ফলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিক বাধ্য হয়ে স্কুল বন্ধ করে দেন। বিশেষ করে ভাড়া ভবনে স্থাপিত স্কুলগুলো বেশি বন্ধ হয়েছে।
করোনার প্রভাবে দেশের শিক্ষা খাতে যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তার বেশির ভাগ এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। বাস্তবতা হলো- কবে নাগাদ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে সরকারের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও তা স্পষ্ট নয়। অথচ আমাদের শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নগামী। দেশের শিক্ষার মান যে নিম্নগামী, এর বড় প্রমাণ বৈশ্বিক যেকোনো সূচকে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এখন হাজারের তালিকায়ও নেই। অথচ নিকট অতীতেও এমন চিত্র ছিল না।
আমরা মনে করি, দেশের শিক্ষা যদি কাক্সিক্ষত মানের না হয়; তাহলে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা টিকতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের চিত্র হলো- সে সব দেশে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবগুলো বেসরকারিভাবে পরিচালিত। তাই আমাদেরও দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। তাই সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে সর্বাগ্রে।॥

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগে ৫ জন‌ আটক ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ তীব্র তাপদাহে খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করল একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গলাচিপায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে : ইসি শিশু সন্তান অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, সৎ বাবাসহ গ্রেফতার ২ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা রা‌তে বৃ‌ষ্টি, দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি শিশুদের হাইড্রেটেড-নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের অর্থ আত্মসাৎ: সাইমেক্স লেদারের এমডি ও তার স্ত্রী কারাগারে

সকল