২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
প্রদর্শনীর কৃষি জমিতে অনিয়ম

অবিলম্বে প্রতিকার চাই

-

ফরিদপুর সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুট্টা প্রদর্শনীর কৃষিজমি পরিচর্যার টাকা ‘নয়-ছয়’-এর অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, প্রদর্শনীর ভুট্টা ক্ষেতের জন্য উপজেলার সরকারি কৃষি অফিস থেকে কিছু বীজ ও কিছু সার দিয়েই যেন দায়িত্ব শেষ। আর কখনো খোঁজ নিতে আসেনি; কয়েক দিন আগে ফোনে সংবাদ দিয়ে কয়েকজন কৃষককে কৃষি অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের একটা সাইনবোর্ড হাতে ধরিয়ে দিয়ে, ফরমে স্বাক্ষর রেখে বিদায় করে দেয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে রাজস্ব অর্থায়নে ওই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১০টি ভুট্টা প্রদর্শনীর প্লটে আবাদ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষক রফিক মিয়া, মাইনুদ্দিন শেখ (বিষ্ণুপুর), হায়দার হোসেন, গফফার মিয়া, বিল্লাল হোসেন, হাকিম (আকোটেরচর), কালাম মীর (চরমানাইর) নামে ‘ভুট্টার একক প্রদর্শনী’ দেয়া হয়। এসব প্রদর্শনী ভুট্টা ক্ষেতের সার্বিক দায়িত্বে আছেন উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন।
প্রদর্শনীর কৃষকরা আরো জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন ভুট্টার প্রদর্শনীর সব ফাইলপত্র দেখাশোনা করেন। ক’দিন আগে বিষ্ণুপুর, আকোটেরচরসহ একাধিক ভুট্টা প্রদর্শনীর এলাকার সব ব্লকে গিয়েই দেখা যায়, উল্লিখিত ভুট্টার গাছে সবেমাত্র পাতা গজিয়েছে, তা বড় হয়নি। অথচ পাশের ক্ষেতেই ভুট্টার গাছ বড় এবং এমনকি কাটার সময় হয়েছে। প্রদর্শনীর বীজ ও সারই বিতরণ করা হয়েছে, অন্যান্য উপকরণ ও জমিতে পরিচর্যা বাবদ নগদ অর্থ সংশ্লিষ্ট কৃষকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা এখনো দেয়া হয়নি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ভুট্টার কৃষকের পরিচর্যার অর্থের পরিমাণ কত টাকা বলতে পারব না। সব কিছু স্যার জানে। তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। এই বিষয় নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় বলেন, ‘সব কৃষকের মোবাইল নাম্বার না পাওয়ায় টাকা পাঠাতে পারিনি। নাম্বার পেলে সে টাকা পাঠিয়ে দেবো।
ভুট্টা প্রদর্শনীর জমিতে যাবতীয় অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এর সুফল মিলবে না। প্রশাসন এ দিকে উপযুক্ত নজর দেবে বলে জনগণ আশা করছে।


আরো সংবাদ



premium cement