২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
চট্টগ্রামে রেলের জায়গায় মদের মহাল

এখনই উচ্ছেদ করুন

-

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ রেলের জায়গা দখল করে ভেজাল মদের মহাল গড়ে তুলেছে একটি সিন্ডিকেট। মাদকের হাট নামে খ্যাত মহানগরীর কোতোয়ালি থানার রিয়াজউদ্দীন বাজারের দক্ষিণে নিজাম হোটেলের লাইনের ৩/এ স্টেশন রোড, বাগদাদ হোটেলের পেছনে অবৈধভাবে মহাল করে মাদক ব্যবসায় করে আসছে চক্রটি। মদের ড্রামে সবসময় মেশানো থাকে নানা ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক। ফলে ভেজাল মদ পানে বাড়ছে লোকজনের অসুস্থতা। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে শেলী ও বিজয় চক্রবর্তী।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ৩/এ স্টেশন রোডের মদের মহালের লাইসেন্সটি তপন চক্রবর্তী ও হারু বাবুর স্ত্রী অনিতা দাশগুপ্তার নামে ইস্যু করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। তারা মারা গেলে মহালটির একক মালিকানা দাবি করে পরিচালনা করেন শেলী এবং তার ছেলে বিজয় ও পালক পুত্র অমিত চক্রবর্তী। শর্তানুযায়ী যেখানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেখানে না করে রেলের জায়গায় অবৈধভাবে মদের ব্যবসায় করে আসছেন।
বিজয় চক্রবর্তী শাওনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নিউজ না করলে খুশি হবো, কারণ আমরা এখানে এমনিতেই ব্যবসায় করি না, প্রশাসন থেকে শুরু করে রেলওয়ে কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা, আরএনবি, জিআরপি, থানাসহ সবাইকে মোটা অঙ্কের টাকা দেই বলে রেল কর্তৃপক্ষ মদের মহাল উচ্ছেদ করে না। আর তাদের ‘হেডাম’ও নেই আমাদের মদের মহালটি উচ্ছেদ করার। এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চল রেলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমান জানান, রেলের জায়গায় কেউ অবৈধভাবে মদের মহাল করতে পারে না; আর ভূ-সম্পত্তি বিভাগ কাউকে স্টেশন রোডে মদের মহালের অনুমতি দেয়নি; আমরা অচিরেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করব। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রামের (মেট্রো) উপ-পরিচালক জানান, ‘জানি না, কাগজপত্র দেখে বলতে হবে, আমি অফিসের বাইরে আছি।’ আশা করি, অবিলম্বে মদের অবৈধ মহালটি উচ্ছেদ করতে কর্তৃপক্ষ দ্বিধা করবে না। অন্যথায় অতিষ্ঠ জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না।


আরো সংবাদ



premium cement