২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
সংলাপের আমন্ত্রণ নাকচ বিএনপির

আগের অবস্থানেই ইসি

-

বিএনপিকে হঠাৎ সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় এসেছে নির্বাচন কমিশন। বলেছে, কারো চাপে বা কথায় নয়, নিজেরা আলোচনা করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ দাবির বিষয়ে কোনো পক্ষ প্রশ্ন তোলার দরকার মনে করেনি। কারণটি স্পষ্ট। চলতি মাসের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা মতপার্থক্য মিটিয়ে আসুক। নির্বাচন কমিশন এখানে মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না। এ ধরনের মন্তব্য থেকে সংশয় জাগতে পারে, ইসি নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে আদৌ ওয়াকিবহাল অথবা সচেতন কিনা। কিন্তু এমন সংশয়ে ভোগাও অপ্রয়োজনীয়। কারণ আমরা দেখেছি, এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে এই ইসি সরকারি দলের সিদ্ধান্তই গ্রহণ করেছে। প্রায় সব দল ইভিএম বর্জনের জোরালো দাবি জানালেও ইসি সরকারি দলের দাবি মেনে নিয়ে ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার কথা ঘোষণা করে।
ফলত দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত বর্তমান ইসি জনগণ বা বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে সামান্যই। এই ইসির অধীনে এখন পর্যন্ত যেসব নির্বাচন হয়েছে তার প্রায় সবগুলোর সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে বিএনপিকে হঠাৎ আলোচনার আমন্ত্রণ অনেকের কাছে বিস্ময়কর। অনেকে বলেন, বিদেশী চাপে সরকার ইসিকে দিয়ে এটি করিয়েছে। বিএনপি অবশ্য এবারের আমন্ত্রণও নাকচ করে দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির উল্লেখ করে বলেন, এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ইসির সাথে আলোচনা নয়।
ইসির আমন্ত্রণকে আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত খেলা বলে উল্লেøখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই খেলাটা হচ্ছে, আমি মুখে গণতন্ত্রের কথা বলব, ভোটের কথা বলব, ভোটও করব। আমার মতো করে নির্বাচন কমিশন গঠন করব। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট-সব কিছু আমার কথায় চলবে এবং আমি যা চাইব, সেভাবেই করব।’
লক্ষণীয়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীতে। সরকারি দল শুধু ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চায় তা-ই নয়, সংসদ বহাল রাখবে এবং নির্বাচনের পর তিন মাস দায়িত্বে থাকবে। এরকম পরিবেশে নির্বাচন কোনোভাবে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না- তার অসংখ্য জাজ্বল্যমান প্রমাণ বিগত ১৫ বছরের একতরফা নির্বাচনগুলো। এ বাস্তবতা বোঝে গোটা জাতি। শুধু বোঝে না আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন।
একটি নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ করতে প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়েও ইসির বক্তব্য স্বচ্ছ নয়। দলীয় অনুগত ডিসি, এসপিদের স্বপদে রেখে নির্বাচন যে নিরপেক্ষ হবে না সেটিও জানা কথা। এমপি ও তার লোকদের উপস্থিতিতে কোনো ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ যে সম্ভব নয় তারও প্রমাণ আছে যথেষ্ট। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এসব নিয়ে কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।
ক্ষমতাসীন সরকার অথবা আওয়ামী লীগ নিজে কোনো সংলাপের প্রয়োজন বা দায় স্বীকার করে না। এরা কখনো আলোচনার মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কটের সুরাহা করেছে এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। এবার তো সংলাপই নেই।
বিএনপিও এবার সরকারি চালে ভুলছে না। সরকার বা ইসির সাথে আলোচনা বা সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। এতে নির্বাচনের আগে পানি আরো ঘোলা হবে সন্দেহ নেই এবং শেষ পর্যন্ত হয়তো আবারো ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো একতরফা নির্বাচন করতে পারে ইসি ও আওয়ামী লীগ। গত দু’টি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক

সকল