২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
সেচের পানির তীব্র সঙ্কট

কৃষকের দিকে দেখুন

-

নয়া দিগন্তের নিকলী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা এক সচিত্র প্রতিবেদনে জানান, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে চলতি বোরো মৌসুমে চলছে সেচের পানির তীব্র সঙ্কট। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, প্রায় ১৫ হাজার একর জমির ফসল উৎপাদন তাই হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে উপজেলার বড় হাওরের কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন। এক ফসলের ওপর নির্ভরশীল হাওরের কৃষকরা জমিতে কোনোরকমে ধানের চারা রোপণ করতে পারলেও পানির অভাবে ফসল উৎপাদনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে কোনোরকমে জমিতে চারা রোপণ করলেও বর্তমানে মেঘনা নদীর শাখা নদী ইকুরদিয়া ও মাকসায় পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলার বড় হাওর ও তার আশপাশের জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পানির তীব্র সঙ্কটের কারণে চরম হাহাকারের মধ্যে আছেন এখানকার কৃষকরা। এ বিষয়ে কৃষি অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও উপজেলা সেচ কমিটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না বলেই কৃষকদের অভিযোগ।
৩১ ডিসেম্বর গিয়ে দেখা গেছে, এই হাওরে সেচের জন্য বিএডিসির উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন আটটি সেচ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি সেচ প্রকল্পের পাম্প সেখানে রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষকদের ব্যক্তিগত আরো প্রায় ৩২টি সেচের পাম্প থাকলেও নদীতে পানির অভাবে বেশ কয়েকটি সেচ প্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তা ছাড়াও আরো কয়েকটি পাম্প বন্ধ হওয়ার পথে। এর ফলে অনেক বোরো জমিতে পানির তীব্র সঙ্কট বলেও কৃষকরা জানান।


কৃষক আব্দুল আহাদ হতাশার সুরে এ প্রসঙ্গে বলেন, এ সময়ে পানি না থাকায় সামনের দিনগুলোতে কী অবস্থা হবে, তা জানি না। কৃষক বজলু মিয়া বলেন, ১৫ একর জমি আবাদ করেছি। এখনই যেভাবে সেচের পানির অভাব দেখা দিয়েছে, বাকি দিন কিভাবে যাবে?
কৃষক শাহিন মিয়া জানান, ‘এ সময় বোরো ধানের জমিতে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একাধিক কৃষকের মতে, প্রায় ১৫ হাজার একর বোরো জমি রয়েছে। সেচের পানির অভাবে এই বিস্তীর্ণ জমির ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ জরুরি ভিত্তিতে এখানকার নদীটি খননের দাবিও জানান তারা। এখানকার মানুষের সারা বছর খাদ্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে এই বোরো চাষ। এই অঞ্চলের আবাদি জমির ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ জমিতেই বোরো ধান উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত ধানে স্থানীয় খাদ্যচাহিদা পূরণের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব অঞ্চল হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাদ্যচাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।
অষ্টগ্রাম ঘায়েলা ২৫ কিউসেক সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার বলেন, প্রায় এক হাজার ২০০ একর জমি এই সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত; কিন্তু এই সময়েই নদীতে পানি নেই। প্রায় মাসখানেক যাবৎ নদী সেচের পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট লোকজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ দিকে কৃষকরা ভীষণ দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন পার করছেন। নদীতে পানির অভাবে বেকায়দায় আছেন এখানকার কৃষক।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমানের কাছে হাওরের কৃষকদের পানি সঙ্কটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ‘ব্যস্ত’ থাকার কথা জানিয়ে বলেন, ‘পরে’ কথা বলব।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল