২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
কাপ্তাইয়ে সাত বৃহৎ শিল্প বন্ধ

দেশের অগ্রগতি হবে কী করে?

-

নয়া দিগন্তের স্থানীয় প্রতিনিধির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বিভিন্ন সমস্যা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ইতোমধ্যে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে কাপ্তাইয়ের সাতটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এশিয়া মহাদেশ খ্যাত কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) কাগজ উৎপাদন করে সারা বাংলাদেশে চাহিদা মিটিয়ে আসছিল। কাঁচামালের অভাবসহ বিভিন্ন সঙ্কটে এখানে কাগজ উৎপাদন নিম্নতম স্তরে নেমে যায়। চলমান কোভিড মহামারীর দরুন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়ার্ক অর্ডার না দেয়ায়, সেই সাথে পাল্পউড (বাঁশ ও নরম কাঠ) কেনা বন্ধ থাকায় কয়েক বছর যাবৎ অব্যাহত লোকসান গুনছে মিলটি। ফলে এবার টার্গেটের চেয়ে বহু কম উৎপাদন হয়েছে। এখানে চালু থাকা অন্যান্য কারখানাও বিভিন্ন সমস্যায় হুমকির মুখে।
জানা যায়, ১৯৬০ সালে এখানে পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার পর ১৯৬৫ সালে কাপ্তাইকে ‘শিল্প এলাকা’ ঘোষণা করা হয়। এখানে গড়ে ওঠে কর্ণফুলী কাঠ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট, লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্স, ইস্টার্ন টিম্বার লিমিটেড, শিলছড়ি ইস্টার্ন টিম্বার অ্যান্ড প্লাইউড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, লেমউড লিমিটেড প্রভৃতি। এর অনেক আগেই ১৯৫৩ সালে কর্ণফুলী কাগজ কল ও রেয়ন অ্যান্ড কেমিক্যালস কমপ্লেক্স চালু হয়। বিপুল শ্রমিক-কর্মচারীসহ এসব মিল পুরো চালু থেকে ব্যাপক মুনাফা পায়। কিন্তু স্বাধীনতার পর বিভিন্ন অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলাসহ প্রশাসনিক অনিয়ম ও অদক্ষতায় সমস্যা সৃষ্টি হয়। লোকসান দিয়ে কিংবা সরকারের ভুল নীতিতে শিল্পকারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। আশির দশকে স্থানীয় এ কে খান প্লাইউড লিমিটেড, ইস্টার্ন টিম্বার অ্যান্ড প্লাইউড ও রুবি প্লাইউড বন্ধ হয়ে যায়। পরে অটোম্যাটিক ব্রিক ফ্যাক্টরিও বন্ধ হয়ে গেছে। ২০০২ সালে রেয়ন মিল, ২০০৪ সালে বিএফআইডিসির কাঠ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এ কারখানাগুলোর কয়েক শ’ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যন্ত্রাংশ পাচার করারও অভিযোগ রয়েছে। এসব কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী এখন বেকার। কর্তৃপক্ষ জানায়, কেপিএম-এ অবিক্রীত প্রচুর কাগজ রয়েছে। এমনকি, সরকারি প্রতিষ্ঠানও অর্ডার কমিয়ে দিয়েছে।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন, শিল্প ছাড়া দেশের অগ্রসর কী করে সম্ভব হবে? অবিলম্বে এসব শিল্প চালুর উদ্যোগ নেয়া জরুরি।


আরো সংবাদ



premium cement