২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় স্কুল

শিক্ষার্থীদের কেন শঙ্কায় থাকতে হয়?

-

একটি সহযোগী জাতীয় দৈনিক জানায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৯৩ নং ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত স্কুল ভবনের বারান্দায় শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠাতে অভিভাবকদের আতঙ্কে থাকতে হয়। ভবনটি জরাজীর্ণ বলে যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
আলোচ্য প্রতিবেদনে জানা যায়, সরেজমিন দেখা গেছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নে অবস্থিত, আলোচ্য ডুমুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এতে শিক্ষার্থী রয়েছে শ’খানেক। পুরনো পরিত্যক্ত ভবনের বারান্দায় দুই শিফটে তিনটি শ্রেণিকক্ষের পাঠদান চলছে ঝুঁকি নিয়েই। পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বিষয় এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এই পাঠদান করছেন সংশ্লিষ্ট শ্রেণিশিক্ষকরা। বিদ্যালয়টি ৭০ বছরেরও বেশি আগে ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে ২০০১ সালে নয়া ভবন তৈরি করা হলেও তা মাত্র চার কক্ষের। পরে বিদ্যালয় বিল্ডিংয়ের প্লাস্টার ধসে পড়ে এবং ভবনটির নানা অংশে ফাটল ধরে। ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এ বছর ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। নামমাত্র এ ঘোষণার পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়েই বারান্দায় ক্লাস নেয়া হচ্ছে কচি শিশুদের। সেখানে পাঠদানরত দু’জন শিক্ষিকা বলেছেন, বৃষ্টি না হলে মাঠে তাঁবু টাঙিয়ে পাঠদানের কাজ চালানো হয়। পঞ্চম শ্রেণীর দু’জন ছাত্রছাত্রী এবং তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থী বলেছে, ‘আমাদের স্কুলে পাঠিয়ে মা-বাবাদের থাকতে হয় উদ্বিগ্ন। অন্য দিকে, ভয়ে ও দুশ্চিন্তায় আমাদের বহু সহপাঠী আর ক্লাস করছে না। জিজ্ঞাসা, স্কুলটির নতুন ভবন কি তৈরি হবে? নাকি এ অবস্থাই চলতে থাকবে?’
এ দিকে, অভিভাবকরা এবং স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জরুরি ভিত্তিতে এখানে নতুন পাকা ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্কুল ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা দিলেও ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষের বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই ঝুঁকি নিয়েই আমাদের ক্লাস নিতে হয়। অথচ বারবার উপরে জানানো হয়েছে।’ মোরেলগঞ্জের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ‘এ বিদ্যালয় ভবন ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে। বিকল্প শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য শিক্ষা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে অনুমোদনের জন্য। এ উপজেলায় ৭৩টি নতুন ভবনের অর্থ বরাদ্দ করা হলেও মাত্র ১০টি বিদ্যালয়ের কাজ চলছে।’
আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের শঙ্কা দূর করা হবে এবং তাদের জন্য নির্বিঘেœ পাঠ গ্রহণের ব্যবস্থা অবিলম্বে নিশ্চিত হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement