১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
প্রাথমিকের ৭০ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্য অজানা

শিক্ষা নিশ্চিতে নজরদারি জরুরি

-

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে সব শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনতে সরকারি-বেসরকরি নানা ধরনের কর্মসূচি রয়েছে। এসব কর্মসূচির সুফলও মিলছে। ফলে দেশে শিক্ষার হার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কিন্তু মানসম্পন্ন শিক্ষায় কাক্সিক্ষত অগ্রগতি হয়েছে তা বলা যাবে না। এমন বাস্তবতার মধ্যেও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি স্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করা দেশের ৭০ লাখ শিশুশিক্ষার্থী সরকারের নজরদারির বাইরে রয়েছে বলে এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে। নয়া দিগন্তে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অবস্থা এমন যে, বিভিন্ন স্কুলে পড়ালেখা করলেও এই বিপুলসংখ্যক শিশুশিক্ষার্থীর কোনো নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ফলে তাদের সংখ্যা অজানা থেকে যাচ্ছে সরকারের কাছে। শুধু তাই নয়; সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা এসব শিক্ষার্থীর পাঠ্যসূচি ও মেধার যথাযথ মূল্যায়নের কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকার ঘোষিত মূল শিক্ষাকার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত না থাকায় এদের অনেকে শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়তে পারে; এই আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে এনজিও পরিচালিত শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার শঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এসব শিক্ষার্থী সম্পর্কে যথাযথ তথ্য জানা না থাকায় সরকারের পক্ষে তদারকির সুযোগও কম। সঙ্গত কারণে বলা যায়, বিপুলসংখ্যক শিশুর শিক্ষাজীবন সরকারের নিয়ন্ত্রণ বা তদারকির বাইরে রেখে প্রাথমিক স্তরে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। একই সাথে এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, এ জন্য সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার কর্মসূচি ব্যাহত হবে।
প্রাথমিকের এই বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোরকে সরকারের নজরে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিশু-কিশোরদের শিক্ষাজীবন তদারকির দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটকে’। এমন প্রস্তাব দেয়ার কারণ হলো, গত প্রায় এক দশক ধরে এ ইউনিটের জনবল কাঠামো অলস বসে আছে। ২০১৩ সালে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকেই মূলত অলস সময় পার করছে পুরো ইউনিট। গুটিকয়েক মামলা পরিচালনা ছাড়া অন্য কোনো কাজই নেই সরকারি এই সংস্থার ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর। শিক্ষাস্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিকের বিভিন্ন বিভাগে এই জনবলকে কাজে লাগাতে পারে সরকার। সহজে নজরদারিতে আনতে পারে নজরে না থাকা বিপুলসংখ্যক এসব শিক্ষার্থীকে। এ কথা বলার কারণ, সংস্থাটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তবায়ন অগ্রগতি সমন্বয় পরিবীক্ষণ ও পর্যালোচনা, প্রাথমিক শিক্ষাকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে প্রচার কাজে নিয়মিতভাবে তদারকি করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এমপিওভুক্ত রেজি: বেসরকারি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের পর ইউনিটের কার্যক্রম কমে যাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির ডিপিপিতে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটকে রূপান্তর করে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে যা বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন ২০২০ এর খসড়া চূড়ান্তকরণের পর্যায়ে রয়েছে। শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবার মতো আমরাও মনে করি, ওই খসড়াটি দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে রূপান্তর করা যুক্তিসঙ্গত। এতে সংস্থাটির জনবলকে কাজে লাগিয়ে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায় আরো গতি আনা সম্ভব হবে। শিশুশিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বাড়াতে প্রস্তাবিত প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড সহায়ক হবে। আমাদের সবার জানা, শিক্ষাজীবনের শুরুতেই যদি শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়া সম্ভব হয় তা হলে দেশের জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করা খুব সহজ হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত

সকল