২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কাউখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসাসেবা

নির্মাণাধীন স্থাপনা শেষ করুন

-

চিকিৎসাসেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক পাঁচটি অধিকারের একটি। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এদেশে এমনো অনেক মানুষ আছেন, যারা রোগ-ব্যাধি হলে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা পান না। অবস্থা এমন যে, দারিদ্র্যের কারণে বহু মানুষ বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। বাস্তবে বিপুলসংখ্যক মানুষের চিকিৎসা করানোর আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাদের কাছে সরকারি হাসপাতালই ভরসা। দেশে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্র রয়েছে; কিন্তু সেখানে সেবার মান উল্লেøখ করার মতো নয়; তাÑও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে বসবাসকারী বেশির ভাগ মানুষের ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা মেলা ভার। তার ওপর যদি প্রত্যন্ত এলাকার সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ও চিকিৎসক সঙ্কটে চলে; তাহলে ওই জনপদের জনস্বাস্থ্য কোথায় রয়েছে, সহজেই অনুমেয়। ঠিক এমন একটি করুণ চিত্র বিরাজ করছে দক্ষিণাঞ্চলের পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায়।
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এক যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কাউখালী উপজেলাবাসীর চিকিৎসাসেবা। অন্য দিকে অনিয়ম আর অব্যস্থাপনায় বন্ধ রয়েছে কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ। চিকিৎসক ও কর্মচারীদের আবাসস্থলের অবস্থাও নাজুক। মোট ১৫ চিকিৎসক থাকার কথা হলেও আছেন পাঁচজন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি একযুগ ধরে জরাজীর্ণ হওয়ায় বেশি দিন এখানে কোনো ডাক্তার থাকতে চান না। ভবন ধসে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় অন্যত্র বদলির চেষ্টা শুরু করেন তারা। অথচ সরকারি সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৭০ হাজার ৫১৫ জন। আর বেশির ভাগ মানুষ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীভুক্ত।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা এতই করুণ যে, প্রায় সব কক্ষের ছাদ ও পিলার থেকে কংক্রিট খসে পড়ে ভুতুড়ে ভবনে রূপ নিয়েছে। যখন তখন খসে পড়ে পলেস্তারা। ভবনের জরুরি বিভাগ, ল্যাবরেটরি কক্ষ, আইএমসিআই রুম, রোগী ওয়ার্ডের অবস্থা খুবই নাজুক। ওই সব কক্ষে প্রবেশ করে রোগী, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা আতঙ্কে থাকেন কখন দুর্ঘটনা ঘটে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, কমপ্লেক্স ভবনের মেরামতসহ ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন ভবন নির্মাণে ২০০৮ সালে কার্যাদেশ দেয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। তবে এর আগেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কার্যাদেশ পেয়ে ২০০৯ সালে মেরামত ও ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ঠিকারদার নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করায় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দফতরে আপত্তি জানান। কাজের মান ভালো না হওয়ায় প্রকৌশল বিভাগও আপত্তি আমলে নিলে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে নতুন ভবন নির্মাণ ও মেরামতকাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে ঠিকাদার মামলা করেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নির্মাণকাজ এক যুগ ধরে বন্ধ হয়ে আছে।
পিরোজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, নতুন করে নির্মাণকাজের টেন্ডার হবে। ফাইল মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আগের ঠিকাদারও জানিয়েছেন, যে সমস্যা ছিল তার অবসান হয়েছে। আমরা মনে করি, অতি দ্রুত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করে তা শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হোক। তা না হলে যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।


আরো সংবাদ



premium cement
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত

সকল