২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
জাল নোট তৈরির অর্ধশতাধিক চক্র

কঠোরভাবে দমন করা হোক

-

জাল নোট ছড়িয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতির ক্ষতি করা হচ্ছে। একটি সহযোগী দৈনিকের এক খবরে জানা যায়, দেশে অর্ধশত চক্র এ অবৈধ কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সময়ে সময়ে এসব চক্রের সদস্যদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও আমরা দেখে থাকি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে তারা আবার অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এই চক্রকে সমূলে উচ্ছেদ করার জন্য জোরালো কোনো ব্যবস্থা দেখা যায় না।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাল ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ চক্রের প্রধান হোতা কাজি মাসুদ পারভেজসহ ছয়জন গ্রেফতার হয়েছে। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। স্ক্যানার, লেমিনেটর, প্রিন্টার, ট্রেসিং, প্লেট ও জাল টাকা ছাপানোর কাগজ জব্দ করে পুলিশ। এর আগে ঢাকার মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল টাকার কারখানার সন্ধান পায় র্যাব-২। এ সময় র্যাব সেখান থেকে কোটি টাকার জাল নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে। গত ১৮ জুলাই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম ঢাকার বংশাল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ লাখ টাকার জাল নোট, জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, পশুহাট, শপিংমল ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের সময় তারা কৌশলে জাল টাকা ছেড়ে দেয়। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে এক লাখ টাকার নোট তারা সাত হাজার টাকায় বিক্রি করে। গত ৩০ জুন মিরপুর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দু’টি বাসা থেকে চার কোটি টাকার জাল নোটসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। ৩০ কোটি টাকার জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম ও ৪০ লাখ রুপি উদ্ধার করে। তারা ১০০ টাকার নোটকে সিদ্ধ করে তার ওপর ৫০০ টাকার ছাপ বসায়। এ কাজে তারা বিশেষ রঙ, কাগজ ও প্রিন্টার ব্যবহার করে। তাদের তৈরি করা এক হাজার টাকার নোট দেখে সেটি আসল না নকল বোঝা অসম্ভব। অপরাধী চক্র তাদের কর্মকাণ্ডে যখন পারদর্শিতা অর্জন করছে তখন আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে হয়ে পিছিয়ে পড়ছে। ফলে দুর্বৃত্তরা নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেই চলেছে। আটক ব্যক্তিরা জানায়, তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পরস্পর যোগসাজশে জাল নোট প্রস্তুত করে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছে। নিজেদের চক্রের সদস্যদের কাছে তারা সামান্য মূল্যে বিক্রি করে দেয়। ঈদ ও দুর্গাপূজার মতো বড় উৎসবকে সামনে রেখে এই চক্র ফাঁদ পাতে। এই ব্যস্ততার মধ্যে এ চক্র জাল টাকা ছেড়ে দেয়। এক লাখ টাকার একটা বান্ডিল তারা প্রথমে পাইকারি দরে বিক্রি করে। চক্রের ক্রেতারা গরুর বাজার বা অন্যান্য পণ্যের চালু বাজারে তা চালিয়ে দেয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানা যায়, বারবার গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে একই পেশায় জড়িয়ে পড়ছে ওই চক্র। রাষ্ট্র্র যদি সিদ্ধান্ত নেয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এই চক্রকে নিশ্চিহ্ন করবে, তা হলে এ ধরনের অবৈধ চক্র তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে না। চক্রের একজন সদস্য যদি আটক হয় তা হলে বাকি সদস্যদের আটক করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন নয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আটক সদস্যরা আইনের ফাঁকফোকর গলে বের হয়ে যাচ্ছে। আবার তারা যুক্ত হচ্ছে অবৈধ চক্রের সাথে। তারা চালিয়ে যাচ্ছে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড। এ ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। জাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় নদীতে ৪ মোটরসাইকেল ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল