মাদকের বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান চাই
- ২৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০
মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স অভিযানে পাচারকারীদের অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার রুটে এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান সবার দৃষ্টি কাড়ে। সেখানে মাদকবিরোধী অভিযানে রাজনৈতিক নেতাও প্রাণ হারিয়েছেন। তবে যাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচারের গুরুতর অভিযোগ, এ ধরনের পালের গোদারা রয়ে গেছে নিরাপদে। এত মানুষের প্রাণ যাওয়ার পরও কক্সবাজার রুটে মাদক চোরাচালান বন্ধ করা যায়নি। নতুন নতুন কৌশলে ওই রুটে সারা দেশে মাদক সরবরাহ হচ্ছে। সর্বশেষ জানা গেল লবণের ট্রাকে করে বিপুল মাদক কক্সবাজার থেকে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে। তবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর যথেষ্ট তৎপরতা রয়েছে। প্রায়ই মাদক কারবারিরা প্রাণ হারাচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে। এরপরও বিপুল মাদক পাচার হচ্ছে এই রুট দিয়ে।
সহযোগী একটি দৈনিকের খবরে জানা যাচ্ছে, গত শনিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে ৩৯ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ট্রাকে করে ইয়াবা আসছে; এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের এক অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয়। ট্রাকটিসহ চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়। জানা যায়, জব্দ করা ট্রাকমালিক একজন পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। আটকদের দেয়া তথ্য মতে, এই মাদক চোরাচালানের সাথে একটি চক্র জড়িত। গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীতে ট্রাকমালিকের আস্তানায় অভিযান চালায়। তাকে আটক করা না গেলেও তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকেও ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই অভিযানে পুলিশ জানতে পারে চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে ট্রাকমালিকের সাথে জনৈক এক ভাবী। তারা কেউ এই ভাবীর নাম জানাতে পারেনি। দেশে মাদক চক্র অপরাধ চক্রের মতোই ডালপালা বিস্তৃত করে আছে। এ ধরনের নাম না জানা অন্তরালের কারবারিরা সারা দেশে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক জরিপে জানা যাচ্ছে, দেশের ৭৫ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। মাদক কারবার করছে এক লাখ ৬০ হাজর। তাদের মধ্যে নারী সদস্য ২৭ হাজার ৩০০ জন। এ কারবারে নারীরা পিছিয়ে নেই। বরং নারী সদস্যদের জন্য এ কারবার চালানো সুবিধাজনক। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সারা দেশে অনেক অভিযান পরিচালনা করেছে; কিন্তু মাদকের যে ভয়াবহ ছোবল সেটি কমছে না। বরং বিশাল একটি শ্রেণী মাদকাসক্ত, আরেকটা বড় গোষ্ঠী একে নিয়েছে কারবার হিসেবে। উভয়ে একে অপরের সহযোগী হিসেবে দেশের জনসংখ্যার বিশাল একটা সংখ্যাকে অসুস্থ অকর্মণ্য ও কর্মক্ষম করছে। এর ভয়াবহ পরিণতি আমাদের অদূরভবিষ্যতে ভোগ করতে হবে।
সবাই জানে জব্দ করা ট্রাকে লবণ বহন করা হয় কক্সবাজার থেকে। গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানের পর জানা গেল লবণের আড়ালে আসলে ওই ট্রাকে ইয়াবা পাচার হয়। এত দিনে কত লাখ ইয়াবা ট্যাবলট এ ট্রাকে পাচার হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। তবে এ ধরনের আরো অনেক ট্রাক একই কাজ করে চলেছে কি না তা জানা দরকার। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং অনেক প্রাণহানি প্রকৃত মাদক কারবার ঠেকাতে সেভাবে কাজে আসেনি। সরকারের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে সত্যিকার অভিযান পরিচালনা করা, যাতে করে সারা দেশের মাদক চক্রকে চিহ্নিত করা যায়। তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ার মধ্যমে মাদকের বিস্তৃতি রোধ করাই হবে কাজের কাজ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা