২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বন্যার দুর্ভোগ আরো পক্ষকাল

পুনর্বাসনের প্রস্তুতি এখনই

-

দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা চলছে। কোনো কোনো জেলায় বন্যার দ্বিতীয় দফা ছোবলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিস্থিতির উন্নতির আভাস দেখা যাচ্ছে না। বরং ভারী বর্ষণে অনেক জেলায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বন্যাদুর্গত লাখ লাখ মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। আগামী কয়েক দিন টানা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে বন্যার যেমন অবনতি ঘটবে তেমনি বাড়বে মানুষের দুর্ভোগও।
সর্বশেষ খবরে জানা যায়, ফরিদপুরে পদ্মার পানি বাড়ছে। বাঁধ ভেঙে কয়েক মিনিটেই তলিয়ে গেছে শহরসংলগ্ন অসংখ্য ঘরবাড়ি। বন্যার পানিতে জেলার বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যাতায়াত। মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, বগুড়া, কুড়িগ্রাম ও শেরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়ও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কিছুটা উন্নতি হয়েছে সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে। পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় মুন্সীগঞ্জের চারটি উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বাড়ায় সদর, গোয়ালন্দ, পাংশা ও কালুখালী উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। মানিকগঞ্জে পদ্মা ও যমুনার পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী।
পিরোজপুরে কঁচা, বলেশ্বর, কালীগঙ্গা ও সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। ভাঙনে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, ফলদ ও বনজ বৃক্ষের বাগান, বসতবাড়ি, হাট-বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ-মন্দির নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে। ৫০টি গ্রামের বিপুল মানুষ এখন পানিবন্দী। শেরপুর-জামালপুর সড়কের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুর-ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গের সাথে এ পথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ঈদের আগে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড আশঙ্কা করছে। কারণ, আগামী কয়েক দিন ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ফের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বন্যার আরো অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মতে, উজানে আগামী কয়েক দিনের বৃষ্টি ও ঢলে দেশের নদ-নদীতে পানির চাপ বাড়তে পারে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলতি মাসের শেষ বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সড়ক ভেঙে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে আবারো পানি বাড়ছে। এই দুর্যোগের সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দুর্গতরা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সরকারের নজর দেয়া জরুরি। সেই সাথে সামাজিক উদ্যোগেও মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের সচ্ছল শ্রেণীর মানুষকে। সরকারিভাবে বন্যা-উত্তর পুনর্বাসনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনাকালের এই বাড়তি দুর্যোগে বিপন্ন মানুষ যেন নিজেদের বঞ্চিত ও অবহেলিত মনে না করে সে দিকেও সরকারকে মনোযোগ রাখতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী!  আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে যাচ্ছে?

সকল