২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
তিন কৌশলে খুলছে বিশ-অর্থনীতি

‘সাবধানের মার নেই’

-

করোনা মহামারীর দরুন গোটা বিশ্ব ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিশেষ করে অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বনেতারা যে সঙ্কটের মুখোমুখি, তা অভাবনীয়। অসংখ্য মানুষের জীবন রক্ষার সাথে তাদের জীবিকা নির্বাহের বিষয়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতি খুলে দেয়ার ব্যাপারে বিশ্বের দেশগুলো প্রধানত তিনটি কৌশল অবলম্বন করছে বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম জানিয়েছে।
পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ, আলোচ্য তিন কৌশল হলো ১. প্রথমেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা; ২. স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ভারসাম্য বিধান এবং ৩. সংক্রমণ ছড়াতে দিয়ে অর্থনীতিকে উন্মুক্ত করা। জানা গেছে, অল্প কয়েকটি দেশ শুরুতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল। অনেক ক্ষেত্রে তাদের স্থানীয় পর্যায়ে এর সংক্রমণ প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। যেমন, দক্ষিণ কোরিয়া। এসব দেশ দ্রুত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সমন্বিত ভাইরাস মনিটরিং ও কোয়ারেন্টিন চালু করায় পুরোপুরি শাটডাউনের ঝুঁকি হ্রাস পায়। যেমন, নিউজিল্যান্ড প্রথমেই গোটা দেশকে লকডাউন করে দিয়েছে। করোনা উচ্ছেদ ও নিয়ন্ত্রণে কিছু দেশ অবিলম্বে কঠোর লকডাউন আর জোরালো মনিটরিংয়ের প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। কোস্টারিকার মতো লাতিন আমেরিকান দেশ মার্চের শেষ দিকেই জরুরি অবস্থা জারি করে পরের মাসে সুফল পেয়েছে। বহু দেশ সীমান্তে কড়াকড়ি এবং ব্যাপক টেস্টের পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষতির ঝুঁকি নিয়েই। ইকোনমিক ফোরাম উল্লেখ করে, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই প্রথমে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাই এখন তারা সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সাথে অর্থনীতিকেও খুলে দেয়া হচ্ছে। তারা স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়। তবে দেশগুলোতে আবার করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দূর হয়নি। করোনাভাইরাসের মনিটরিং সক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও এর চিকিৎসা ও টিকা উদ্ভাবনে সফলতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অনুসরণ করা দরকার, যেন এ ভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পায় এবং অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি পায়।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, করোনাকে নিয়েই অর্থনীতি এগিয়ে নেয়ার কৌশল গ্রহণ করেছে সুইডেন। তাদের নীতি হলো, ‘মানুষ যে যার মতো চলবে। শুধু বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’ সুইডেন মনে করে, করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলেও আক্রান্তরা নিজে নিজেই সুস্থ হয়ে যাবেন। এভাবে তৈরি হবে ‘হার্ড ইমিউনিটি’। কয়েকটি দেশ সুইডেনের অনুসরণ করলেও এ মডেলের সাফল্য অনিশ্চিত। কারণ সত্তর বছরের বেশি বয়সীদের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার সুইডেনে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ডেনমার্কের দ্বিগুণ এবং নরওয়ে-ফিনল্যান্ডের চেয়ে তিন গুণ। ইকোনমিক কোরামের মতে, যুগপৎ মানুষ ও অর্থনীতির সুস্থতার জন্য তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা গেলে আরো কার্যকর কৌশল পাওয়া যেতে পারে।
আমাদের কথা হলো, সতর্কতার নেই কোনো বিকল্প। জনমানুষের জীবনের সাথে তাদের জীবিকা, তথা জাতীয় অর্থনীতিও গুরুত্ববহ। তবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুঝুঁকি থাকে। বিশেষত অধিক জনসংখ্যাক্লিষ্ট দরিদ্র দেশগুলোকে জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধানে এগোতে হবে। এ ক্ষেত্রে, এসব দেশের প্রতি উন্নত ও ধনী বিশ্ব দায়িত্ব পালনে পিছপা হবে না বলেই সবার প্রত্যাশা।]


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল