২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
এইচএসসির বই ছাপা হয়নি

যত শিগগির সম্ভব উদ্যোগ নিন

-

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, জুনের মধ্যেই কলেজের একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবই ছেপে বাজারজাত করা হয়ে থাকে। কারণ জুলাই মাসের প্রথম দিনই সারা দেশে এইচএসসি প্রথম বর্ষের নতুন ক্লাস শুরু হয়ে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোনো পাঠ্যবই ছাপা যায়নি। সবে মাত্র এ জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অথচ এক মাস আগেই চলতি বছরে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফল বের হয়ে গেছে। ১৭ লাখের মতো ছাত্রছাত্রী এতে উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে প্রবেশের জন্য প্রতীক্ষায় রয়েছে। অপর দিকে, শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা পর্যন্ত কলেজে এইচএসসিতে ভর্তির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার ‘প্রয়োজন নেই’। এ দিকে, এইচএসসির পাঠ্যবই প্রকাশে বিলম্ব হলে নানা সমস্যার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেছেন, যেহেতু এইচএসসির ক্লাস বিলম্বে শুরু হচ্ছে, তাই আমরা ‘একটু ধীরেসুস্থে কাজ শুরু করেছি’। তার বক্তব্য, চলতি বছর বাংলা, বাংলা সহপাঠ, ইংরেজি এবং আইসিটি বই এনসিটিবি থেকে দেয়া হবে। এখন আইসিটি বই লেখা হচ্ছে। প্রকাশকদের সূত্রে জানা যায়, গতবার এইচএসসির বইয়ের জন্য ২৪টি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা সত্ত্বে¡ও শুধু একটি প্যাকেজে দু’টি দরপত্র জমা পড়েছিল। তা ছাড়া, একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানকে এইচএসসির সব বই বাজারজাত করতে দেয়া হলে অন্য প্রকাশকরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তখন ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে বইয়ের গুণগত মান নিয়েও। তাই এনসিটিবি এবার ‘বুঝে শুনে’ দরপত্র আহ্বান করতে চায়। এনসিটিবি জানায়, এ বছর কমপক্ষে ২২ লাখ পাঠ্যবই ছাপাতে হবে। অভিভাবকরা জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ের তালিকা চূড়ান্ত না করায় ঘরে আটকা পড়ে থেকে শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট হচ্ছে। ভর্তি পিছিয়ে গেলেও বাজারে নতুন পাঠ্যবই পাওয়া গেলে তারা তা কিনে পড়তে পারত। প্রকাশক ও বিক্রেতারা জানান, এইচএসসির বই অতীতে নকল হতে দেখা গেছে। বাংলা-ইংরেজি বই বের করতে দেরি হলে নকল বইয়ে বাজার সয়লাব হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ এসব বই চড়া মূল্যে কিনতে হয়। এর দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছুতেই এড়াতে পারে না।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সংশ্লিষ্ট সূত্র পাঠ্যবই নিয়ে ‘অসম’ প্রতিযোগিতা বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়ে বলেছে, বাজারজাতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সব শিক্ষার্থীর হাতে যেন যথাসময়ে বই পৌঁছতে পারে তা নিশ্চিত করা দরকার। বেশি রয়্যালটি দিলেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে পাঠ্যবই বাজারজাত করার সুযোগ দেয়া ঠিক নয়। তা করা হলে, লিখিত মূল্যের চেয়ে বেশি দিয়ে বই কিনতে হতে পারে বলে সমিতির শঙ্কা। ‘অরাজকতা’ দূর করতে ‘সবাইকে ডেকে সুষ্ঠু দরপত্রের মাধ্যমে’ বই বাজারজাত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ বলেছে, বই বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সরকার ‘যেন লাভবান হয়’, সে কাজই করা হবে। উল্লেখ্য, উপরিউক্ত সমিতির সদস্যদের ২৬ হাজার দোকানের মাধ্যমে দেশে পাঠ্যবই বিক্রি করা হয়ে থাকে।
বাস্তবতা হলো, এনসিটিবির কার্যক্রম সময়মতো না হলেও ছাত্রছাত্রীদের অনেকে বাজার থেকে বই কিনে প্রধানত অনলাইন ক্লাস-কোচিং শুরু করে দিয়েছে। বইয়ের দাম বেশি কি না কিংবা বইটি নকল কি না, তা যাচাই করে দেখার সুযোগ তাদের মিলছে না।
এ অবস্থায় যথাসময়ে এইচএসসির মানসম্মত ও পর্যাপ্ত পাঠ্যবই প্রকাশ এবং তা সর্বত্র ন্যায্যমূল্যে বিক্রির জন্য কর্তৃপক্ষের যত শিগগির সম্ভব পদক্ষেপ নেয়াই মঙ্গলজনক।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল!

সকল