১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি

সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

-

রাজধানীর কাঁচাবাজারে শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। এর পরও দাম ক্রমেই বাড়ছে। অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুনসহ বেশির ভাগ মসলা। প্রধান খাদ্যশস্য চালের দামও বাড়তে শুরু করেছে। দাম বেড়েছে ডিম-মুরগির। প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতার মধ্যেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। এতে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ। কয়েক দিন ধরে স্বল্প পরিসরে রাজধানীর খোলাবাজারে ৪৫ টাকা দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। তবে চাহিদার তুলনায় সামান্য হওয়ায় এর প্রভাব বাজারে পড়ছে না। কারসাজির বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কঠোর হুঁশিয়ারি এবং সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাম কমা’র ঘোষণা দেয়া হলেও কাজ কিছুই হয়নি। খুচরাবাজারে এখন প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও দাম ছিল ৫৫ টাকা।
সুবিধাজনক হওয়ায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আগ্রহ থাকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির দিকে। কিছু পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকেও আনা হয়। এতে পরিবহন খরচ কম পড়ে। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দর তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আগে টনপ্রতি পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ ডলার মূল্যে আমদানি হলেও এবার তা বাড়িয়ে ৮৫২ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। গত সপ্তাহে মুরগি বিক্রি হয় ১২৫-১৩০ টাকা কেজি দরে, এখন তার দাম হয়েছে ১৪০-১৪৫ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির দাম ১৯০-২০০ টাকা। বাজারভেদে গরুর গোশত ৫৫০-৫৭০ টাকা এবং খাসি ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি। ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে প্রায় ১৫ টাকা। বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। ছোট ইলিশের দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি। কাচকির দর ৩০০-৪০০ টাকা কেজি। কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছই। ঢাকার বাজারে শুক্রবার ছোট আকারের প্রতিটি লাউ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০-১২০ টাকা কেজি, গাজর ৫০-৭০ টাকা, করলা ৬০ -৭০ টাকা, বেগুন, পটোল, ঝিঙা, ধুন্দুল, ঢেঁড়স প্রভৃতি ৫০-৬০ টাকা দরে। অথচ গত সপ্তাহে এসব সবজির দাম গড়ে কেজিতে ২০ টাকা কম ছিল। চলতি সপ্তাহে কাঁচামরিচের কেজি ৮০-১০০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা, প্রতিটি ছোট ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলার দর ৪০-৬০ টাকা কেজি। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।
হাজারো সমস্যার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ। আয় সীমিত হওয়ায় সব সময় তাদের চাপে থাকতে হয়। এখন প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের জীবন ওষ্ঠাগত। দেশের মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের ক্রয়ক্ষমতায় আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল