১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এসএমই মেলায় নগদ বিক্রি ১৩ কোটি টাকা

এসএমই মেলায় নগদ বিক্রি ১৩ কোটি টাকা - পুরনো ছবি

সপ্তাহব্যাপী শেষ হলো শতভাগ দেশী পণ্যের সবচেয়ে বড়ো আয়োজন ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা। এবারের মেলায় ৩১৫টি উদ্যোক্তা স্টল নগদ বিক্রি করেছে ১৩ কোটি টাকার পণ্য।

আর প্রি অর্ডার পেয়েছে ২০ কোটি টাকার। যা গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান এসএমই ফাউন্ডেশন পরিচালক এবং ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক মো: রাশেদুল করীম মুন্না।

তিনি বলেন, এবারের মেলায় ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্টল নিয়েছিল। ১০ হাজার আবেদন পেয়েছেন তারা উদ্যোক্তাদের কাছে থেকে। আর অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা বলেন, মেলায় মেয়াদ আরো বাড়ানো উচিত। এতো কম সময়। তার উপর নেই কোনো প্রচারণা।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল মেলার শেষ দিনে আয়োজকরা গণমাধ্যমের কাছে মেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে কথা বলেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতি. দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ।

এদিকে, মেলার সোনালী ব্যাংকের স্টল জানায়, স্টল ভিজিটকারী উদ্যোক্তা ও সহযাত্রীদের সংখ্যা ছিল ১৬ শ’ জন। বিভিন্ন তথ্যসেবা গ্রহণকারী ১৩ শ’ জন। ঋণ নিতে আগ্রহী উদ্যোক্তণ আনুমানিক ৪২০ জন। প্রাথমিক ঋণ মঞ্জুর তথ্য দিয়ে জানান, প্রাক-অর্থায়নের (ক্রেডিট গ্যারান্টিসহ) আওতায় ২৩টিতে ৩.৮০ কোটি টাকা। সিএমএস খাতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পুন:অর্থায়ন স্কীম ৯টিতে ১.১০ কোটি টাকা। সিএমএসএমই মাস্টার সার্কুলারের আওতায় প্রকল্প ঋণ একটিতে ১০ কোটি টাকা। গ্রীন ফিন্যান্স একটি ১৫.০০ কোটিসহ ২৯.৯০ কোটি টাকা।

মো: রাশেদুল করীম মুন্না বলেন, এবারের মেলা আয়োজনে আমাদের পৃষ্টপোষক ছিল। এর আগে এসএমই ফান্ডেশন নিজেরাই আয়োজন করতো। কোনো পৃষ্ঠপোষক ছিল না। আমাদের এই মেলার লক্ষ্য হলো, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উদ্যোক্তাদেরকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসা। এবারের মেলায় লক্ষাধিক দর্শক ও ক্রেতার আগমন ঘটে।

তিনি বলেন, তিন ধরনের ক্রেতা এই মেলায় এসেছে। এদের মধ্যে কিছু বিদেশী, কিছু বায়িং হাউজ এবং স্থানীয় বড় উদ্যোক্তারা। যারা এখান থেকে পণ্য কেনার জন্য। যা তারা বিদেশে রফতানি করতে পারবে।

আর সালাহউদ্দিন মাহমুদ জানান, মেলা শেষে একটা সময় নিয়ে আমরা শ্রেষ্ঠ স্টল ও উদ্যোক্তা, শ্রেষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। আগামী জুনের প্রথমদিকে আমরা যশোরে আঞ্চলিক মেলার আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement