১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

২০৪১ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর খাতের উন্নয়ন চায় বাংলাদেশ

২০৪১ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর খাতের উন্নয়ন চায় বাংলাদেশ - ছবি : ইউএনবি

সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর খাত গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এলএলপির অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম নিয়ে এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।

বর্তমানে, বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে বার্ষিক প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে, যার বেশিরভাগই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) চিপ ডিজাইন পরিষেবা সরবরাহ করে, যখন ফ্যাব্রিকেশন, প্যাকেজিং, সংযোজন এবং পরীক্ষা অব্যবহৃত রয়েছে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এলএলপি'র পার্টনার অভিষেক গুপ্ত, যেখানে সেমিকন্ডাক্টর ভ্যালু চেইন এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য গুরুত্বের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।

সালমান ফজলুর রহমান বলেন,‘বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সম্ভাবনা অপরিসীম। এ জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোগ এবং একাডেমিক অবদানের সাথে সরকারের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

তিনি বলেন, ‘এই শিল্প দেশীয় চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং আমাদের রফতানি সক্ষমতা বাড়াতে পারে। তাই আসুন আমরা সেমিকন্ডাক্টরের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করি।’

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, সেমিকন্ডাক্টর সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও সিস্টেমের জন্য একটি লাইফলাইন, প্রযুক্তিতে যেটির প্রয়োগ সীমাহীন।

তিনি বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক সরবরাহ প্রক্রিয়ার কাছাকাছি থাকা, শিল্প বৈচিত্র্যকরণ, অবকাঠামো ও প্রণোদনা সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি এসটিইএম ক্ষেত্রগুলোতে তরুণ পেশাজীবীদের বিশাল অংশ থাকায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেয়েছে।

সরকারি, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সংস্থার স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে গ্রুপ টেকনিক্যাল পর্বের মাধ্যমে এ খাতের সম্ভাবনা, প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা, উৎপাদনের বাইরেও সুযোগ এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ নেওয়া হয়।

কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়, এ খাতে সমন্বিত বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রাপ্ত পরামর্শের ভিত্তিতে একটি খসড়া কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement