১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাটির ব্যবস্থাপনায় খুব দুর্বল কৃষি বিজ্ঞানীরা : কৃষিমন্ত্রী

মাটির ব্যবস্থাপনায় খুব দুর্বল কৃষি বিজ্ঞানীরা : কৃষিমন্ত্রী - ছবি : ইন্টারনেট

দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা মাটির সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল ভূমিকা পালন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। পাশাপাশি তিনি দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা কারিকুলাম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

সোমবার বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে বিষয় অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবং কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটির স্বাস্থ্য ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করলেও মাটির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেগুলো ভালো ফল দেবে না। আবার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সারও লাগবে। সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সবকিছুর জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সেদিক থেকে আমাদের বিজ্ঞানীরা খুব দুর্বল।

তিনি বলেন, কৃষিতে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন। নতুন নতুন প্রযুক্তির জন্য মাটির কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে তা জানা দরকার। কয়েক বছর আগে নতুন প্রযুক্তি ভার্মিকম্পোস্ট এসেছে। সকল বিষয়ে উঁচু মানের প্রশিক্ষণ
প্রয়োজন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যারা কৃষিবিদ হয়ে উঠছেন তাদের জন্য দুর্বলতা রয়েছে। মাঠের সাথে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাতে কলমে শিক্ষা নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এত বড় বড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটিও পোল্ট্রি খামার নেই। ডেইরি ফার্ম নেই। তারা শিখবে কিভাবে। কিন্তু বেসরকারি খাত বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা কিভাবে সহায়তা দেবে।

মন্ত্রি কৃষি গবেষণা সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়ে বসেন। তাদের কিভাবে পড়ানো করানো উচিত তার কারিকুলাম দেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই বিসিএসের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। কয়েকটি নোট পড়ে কোনভাবে ডিগ্রি নিয়ে আসছে। সবাই সেটা না করলেও তবে বেশিরভাগ এমন করছে।

মন্ত্রী বলেন, সবাই সরকারি চাকরি নিতে ব্যস্ত। সরকারি চাকরি মানেই মাস গেলে বেতন। কোনো দায়িত্ব আর কাজ নেই। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement