১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশে পেট্রোল-অকটেনের চাহিদা-যোগান পরিস্থিতি যেমন

সরকার দাবি করেছে, আগামী ছয় মাসের জ্বালানি তেলের আমদানি নিশ্চিত করা আছে। - ছবি : বিবিসি

বাংলাদেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পেট্রোল ও অকটেনের মজুদ রয়েছে- জুলাইয়ের শেষদিকে এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই অন্যান্য জ্বালানি তেলের পাশাপাশি অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ডিজেল আমাদের কিনতে হয়, সেটা ঠিক। কিন্তু অকটেন আর পেট্রোল কিন্তু আমাদের কিনতে হয় না। আমরা যে গ্যাস উত্তোলন করি সেখান থেকে বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে পরিশোধনের মাধ্যমে পেট্রোল পাই, অকটেনও পাই। বরং আমাদের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি অকটেন ও পেট্রোল আমাদের আছে, আমরা অনেক সময় বাইরে বিক্রিও করি।’

অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করে প্রশ্ন তুলছেন- বাংলাদেশে চাহিদার বেশি পেট্রোল ও অকটেনের মজুদ থাকলে কেন এই দাম বাড়ানো হলো।

জ্বালানি তেলের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আমদানি করে ডিজেল। বাংলাদেশে প্রতি বছর ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের সিংহভাগই ডিজেল। বছরে মোট ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের মধ্যে পেট্রোল ও অকটেনের হার সামান্যই।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে ওই বছর মোট জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছিল ৫৫ দশমিক শূন্য তিন লাখ টন। ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল ডিজেল, পেট্রোলের ব্যবহার ছিল পাঁচ দশমিক ৮৬ শতাংশ আর অকটেন ব্যবহার হয়েছে মোট জ্বালানি চার দশমিক ৭৮ শতাংশ।

বিপিসির সূত্র অনুযায়ী, মোট জ্বালানি তেলের ব্যবহার প্রতিবছর কিছুটা বৃদ্ধি পায়। জ্বালানি তেলের বার্ষিক ব্যবহারের পরিমাণই জ্বালানি তেলের চাহিদা হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ সালে মোট জ্বালানি তেলের চাহিদা ছিল প্রায় ৭০ লাখ টন- যার মধ্যে অকটেনের ব্যবহার ছিল তিন লাখ ৩৯ হাজার ৬০২ টন, আর পেট্রোলের ব্যবহার ছিল
চার লাখ ৪৬ হাজার টন।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন সূত্র বলছে, বাংলাদেশে বছরে অকটেনের চাহিদা থাকে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন আর পেট্রোলের চাহিদা থাকে চার থেকে সাড়ে চার লাখ টন। অকটেনের চাহিদার একটা অংশ আমদানি হয়

এই জ্বালানি তেলের মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোল আমদানি না করলেও বিপিসির সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশের বাৎসরিক অকটেনের চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাংলাদেশ আমদানি করে থাকে।

বার্ষিক চাহিদার কী পরিমাণ অকটেন আমদানি করতে হয়, সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের মার্চ মাসে সংস্থাটি ৫১ হাজার ৮৬ টন অকটেন আমদানি করেছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৯১৩ মেট্রিক টন।

আমদানির পাশাপাশি, বাংলাদেশের ভেতরে গ্যাস উত্তোলনের সময় গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া উপজাত বা 'কনডেনসেট' থেকেও স্থানীয়ভাবে অকটেন উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ যেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে, তা প্রক্রিয়াজাত করে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন করার সময় উপজাত হিসেবে 'ন্যাফথা' উৎপাদিত হয়- যা বিদেশে রফতানি করা হয়ে থাকে।

‘ন্যাফথা’ পেট্রোলের মতই তুলনামূলক কম পরিশোধিত এক ধরণের জ্বালানি তেল।

১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশ প্রতি বছর লক্ষাধিক টন ন্যাফথা রফতানি করতো। তবে বর্তমানে দেশের ভেতরে বিভিন্ন বেসরকারি পেট্রোকেমিক্যাল প্ল্যান্টে জ্বালানি তেল ও অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল হিসেবে ন্যাফথা ব্যবহৃত হওয়ায় ন্যাফথা রফতানির পরিমাণ বেশ কমেছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল