২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বিশ্বব্যাপী খাদ্য বিপর্যয়ের শঙ্কা

বিশ্বব্যাপী খাদ্য বিপর্যয়ের শঙ্কা। - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী খাদ্যে ঘাটতি শুরু হয় করোনা মহামারীতে। সে সময় দেশে দেশে ধারাবাহিকভাবে কঠোর বিধিনিষেধে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিশ্ব যখন সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্ট করছে ঠিক তখন-ই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধ খাদ্য সঙ্কটকে আরো ঘনীভূত করে তোলে।

এরই মধ্যে এই যুদ্ধের প্রভাবে দেশে দেশে দেখা দিয়েছে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি। বেড়ে গেছে জীবনযাত্রার ব্যয়। জানা গেছে, যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমাদের কঠোর বিধিনিষেধের মুখে পড়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে ইউক্রেনের শস্য রফতানি। যুদ্ধকবলিত দেশ দু’টি বিশ্বব্যাপী খাদ্যের ১০ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করে। তারা বিশ্বের গম রফতানির ৩০ শতাংশের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে। কমপক্ষে ২৬টি দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল। তাই স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধের প্রভাব গিয়ে পড়েছে আমদানীকারক দেশগুলোর ওপর।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ২০২২ সালের পর গমের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। আরো ছয় শতাংশ বেড়ে যায় ভারতের গম রফতানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর।

গত বছরের জুলাইতে শুরু হওয়া ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রাশিয়া বিশ্ব চাহিদার ১৬ শতাংশ গম রফতানি করে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের অবদান ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়ায় দেশ দু’টি শস্য রফতানি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়।

ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইএইইউ) বাইরে গম, রাই, যব ও ভুট্টা রফতানি ৩০ জুন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করে। এদিকে ইউক্রেন ওডেসাতে একমাত্র অবশিষ্ট বন্দর বন্ধ করে দিয়েছে।

তাছাড়া কাজাখস্তানসহ কয়েকটি প্রধান শস্য সরবরাহকারী দেশ যখন রফতানি বন্ধ করে দেয়, তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। মূলত অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে জীবনযাত্রা পরিস্থিতি সামনে কী হতে পারে সে বিষয়ে সঠিক পূর্বানুমাণ করতে পারছে না কেউ। গত ১৮ মে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আগামী মাসগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যে প্রচণ্ড ঘাটতি দেখা দেয়ার হুমকি তৈরি হয়েছে, যা বছরের পর বছর ধরে স্থায়ী হতে পারে।

প্রধান প্রধান বিভিন্ন খাবারের উচ্চ মূল্যের কারণে পর্যাপ্ত খাবারের নিশ্চয়তা নেই এমন মানুষের সংখ্যা ইতোমধ্যে বিশ্বে ৪৪ কোটি থেকে বেড়ে ১৬০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। আরো প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। যদি যুদ্ধ চলতে থাকে এবং বিশ্ববাজারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরবরাহ সীমিত হয়, তাহলে আরো কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারেন। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে, শিশুদের জীবন থমকে যাবে এবং মানুষকে অনাহারে থাকতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খাবারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন না বলে আশা অনেকের। যুদ্ধের অনিবার্য ফল অভাব নয়, ক্ষুধাকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে বিশ্ব নেতাদের দেখা উচিত। আর এ জন্য জরুরিভিত্তিতে বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল