‘টফি’ সোস্যাল মিডিয়ার বিশাল শূন্যতা পূরণ করবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৮:১১
দেশে তৈরি বাংলা ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টফি’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরিতে অসাধারণ একটি সৃজনশীল উদ্ভাবন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, টফি একটি বিশাল শূন্যতা পূরণে ভিনদেশী কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের বদলে এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের দেশ-জাতি ও নিজেদের সংস্কৃতি বিকাশে এগোতে পারবো। এই প্লাটফর্মটি বাংলা, বাঙালি, বাংলার কৃষ্টি, জীবনধারা এবং মেধা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি অসাধারণ কাজ। দেশের মেধাবী ও সৃজনশীলদের জন্য প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে টফির গুরুত্ব অপরিসীম এবং বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ একটি বিষয়।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতর থেকে অনলাইনে দেশের প্রথম সামাজিক যোগাযোগ এ মাধ্যমটির উদ্বোধনকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
মোবাইল কোম্পানি বাংলালিংক ডিজিটাল এই প্লাটফর্মটির স্বত্বাধিকারী। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি দেশীয় কনটেন্ট নির্মাতাদের ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে অর্থ উপার্জনের সুযোগ করে দেবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুস্পষ্ট আদর্শের উপর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লাভ হয়েছে- একথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি বিশ্বের ৪০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের রাজধানী। বাঙালির সংস্কৃতি রক্ষা ও বিকশিত করা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের লক্ষ্য। বাংলাদেশ বাংলা ভাষাকে সুরক্ষা করবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে বাংলা হরফ নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে বাংলা আজ ডিজিটাল প্রযুক্তির উপযোগী ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
তিনি বলেন, অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে আমরা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ বেয়ে গত ১২ বছরে সকল পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করতে কেবল সক্ষমই হইনি আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্যতা অর্জন করেছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলালিংক দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে গর্ব করার মতো একটি কাজ করেছে। ইউটিউবসহ অন্যান্য প্লাটফর্মে কপিরাইট যাচাই বাছাই না হওয়ায় কন্টেন্ট পাইরেসি হয়। কপিরাইট আইন প্রয়োগ ও কন্টেন্ট প্রদানকারীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য টফি‘র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। একটি নিরাপদ প্লাটফর্মের জন্য পরিচয় নিশ্চিত করা উচিৎ।
তিনি বলেন, তথা কথিত কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের আড়ালে ভিনদেশীয় সংস্কৃতি প্রভাব থেকে আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি সমুন্নত রাখতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি যত সম্প্রসারিত হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তায় তত বেশি চ্যালেঞ্জ আসছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা না থাকলে শংকা আরো বাড়তো। আমরা মেধার বিকাশ দেখতে চাই, মেধা চুরি নয়।
ঢাকায় বাংলালিংক সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও বাংলালিংক সিইও এরিক অ্যাস প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা