২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা বিবেচনায় কাগজ আমদানির শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

করোনা বিবেচনায় কাগজ আমদানির শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি - ছবি - সংগৃহীত

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সংবাদপত্রশিল্পের জন্য আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে বিদ্যমান কর প্রত্যাহার এবং করপোরেট কর কমানোর দাবি জানিয়েছেন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সম্পাদকেরা। পাশাপাশি জনগণের করের অর্থের অপচয় রোধে আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

বাজেট সামনে রেখে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের এক অনলাইন আলোচনায় সম্পাদকেরা এ পরামর্শ দেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নিজেই। অর্থমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক নঈম নিজাম এবং আমাদের নতুন সময়-এর সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

করোনার কারণে এক বছর ধরেই আর্থিক ক্ষতির মুখে রয়েছে সংবাদপত্রশিল্প। কমে গেছে আয়। সংবাদপত্রের মূল কাঁচামাল কাগজ। কিছু শিল্পের মূল কাঁচামালের ওপর শূন্য শুল্ক আছে। অথচ সংবাদপত্রের কাঁচামাল কাগজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। পাশাপাশি দিতে হয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর।

গত মাসে এনবিআরের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও এ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। একই সঙ্গে তারা করপোরেট কর সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ করারও প্রস্তাব করে।

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও একই বিষয় তোলেন সম্পাদকেরা। অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত যে দল রয়েছে, সে দল পরামর্শগুলো নিয়ে কাজ করবে। যতটা আমাদের সাধ্যে কুলায় সেভাবেই কাজ করব।’

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেছেন, সংবাদপত্রশিল্প এমন বড় কোনো শিল্প নয় যে এ থেকে সরকারের খুব বেশি আয় হয়। ফলে দাবিগুলো সরকার বিবেচনা করতে পারে। এতে শিল্পটা টিকে যাবে।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে গণমাধ্যমগুলোর বিজ্ঞাপন বিল আটকে আছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। এ টাকা পরিশোধ করারও দাবি জানানো হয় বৈঠকে।

এদিকে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি আমাদের প্রাণ। কৃষি খাতের যে যে জায়গায় হাত দেওয়া উচিত, সেগুলোতে সহযোগিতা করা হবে। সব ধরনের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষিত যাঁরা কৃষিতে আসতে চান, তাঁদের উৎসাহিত করার জন্য কিছু কিছু প্রণোদনা রাখা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান জার্মানির অর্থ যেভাবে সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধে ব্যবহার হচ্ছে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনের মেয়াদ বাড়ল

সকল