২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই

-

ক্রমেই চড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। রোজার আগে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ছে। বাড়ছে মাছ-মুরগি ও সবজির দামও। আলু- পেঁয়াজের দাম সেই যে বেড়েছে আর কমার কোনো আশা নেই। পাস্তুরিত দুধের দাম ইতোমধ্যে লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে। রোজায় এসব পণ্যের দাম কততে গিয়ে দাঁড়ায় তাই নিয়ে সবাই এখন থেকেই চরম দুশ্চিন্তায়।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির গোশতের দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বৃহস্পতিবারের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আর অন্যান্য মুরগির গোশত কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে এক দিনের ব্যবধানে।

পেঁয়াজ ও আলুর দাম সেই আগের মতোই আছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। মানিকনগরের ব্যবসায়ী আবু বকর গতকাল বলেন, পেঁয়াজের দাম কেজিতে ফাঁচ টাকা কমেছে; কিন্তু আলুর দাম সেই আগের মতোই আছে।

সবজির দাম এখন বেশ চড়া। গত সপ্তাহ থেকেই সবজির মূল্য বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, সজনে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গাজর ২০-৩০ টাকা, বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ২০-২৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়।

ইন্ডিয়ান ও চায়না রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, দেশী রসুন ৭০-৮০ টাকা, দেশী আদা ৬৫-৭০ টাকা এবং চায়না আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেজি পাওয়া যাচ্ছে।

চালের বাজার আগের মতোই আছে। সেই যে বেড়েছে দাম আর কমেনি। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, মিনিকেট ৬৫ টাকায়, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকায়, পোলাওয়ের খোলা চাল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম এখনো কমই আছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। কোনো কোনো ডিম ১৪টি মিলছে এক শ’ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। দেশী মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর গোশত। আর খাসির গোশত মিলছে ৮৫০ টাকায়। বকরির গোশত পাওয়া যায় ৭০০-৭৫০ টাকায়।

মাছের দাম বাজার ভেদে এবং মাছের মান ভেদে কমবেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে গড়ে মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে একাধিক ক্রেতা জানান। নুরে আলম নামের এক ক্রেতা বলেন, এখন ছোট সাইজের নদীর চিংড়ি কিনতে হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকা কেজি। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশী মাছের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে গড়ে ৫০ টাকা বেড়েছে। শুধু চাষের মাছই এখন নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা বলে নুরে আলম বলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল