১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

নির্দিষ্ট কিছু চালের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার

নির্দিষ্ট কিছু চালের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে চালের অব্যাহত দাম বৃদ্ধির মুখে সরকার মিলগুলোর জন্য সরু মিনিকেট চাল এবং মাঝারি বিআর আটাশ এর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে।

মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হবে ২৫৭৫ টাকা করে। আর মাঝারি ধরণের বিআর আটাশ চালের বস্তা বিক্রি করতে হবে ২২৫০ টাকা দরে। মঙ্গলবার খাদ্য এবং বাণিজ্য মন্ত্রীরা চাল মিল মালিক আড়তদারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে দাম নির্ধারণ করে দেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে এই ধরণের চাল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এই কারণে এই দুইটি চালের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, মিল গেটে মিনিকেট চালের প্রতি কেজির দাম পড়বে ৫১ টাকা ৫০ পয়সা। আর মাঝারি চালের দর মিল গেটে পড়বে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে।

নতুন দর অনুযায়ী, মিল গেটে মিনিকেট চালের প্রতি কেজির দাম পড়বে ৫১ টাকা ৫০ পয়সা। আর মাঝারি চালের দর মিল গেটে পড়বে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে।

চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত ১০ দিন ধরে চালকল মালিকরা মিনিকেট এবং মাঝারি চালের দাম কেজি প্রতি প্রায় আট শতাংশ বাড়িয়েছেন।

তারা অভিযোগ করেছেন, এখন মৌসুমের শেষ এবং এ বছরের বন্যার সুযোগ নিয়ে চালকল মালিকরা দাম বাড়ানোর ফলে খুচরা বাজারেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

ঢাকার একজন পাইকারি চাল ব্যবসায়ী, অমৃত কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, ৫০ কেজির সরু মিনিকেট চালের বস্তা আড়াই হাজার টাকার জায়গায় মিলে গত কয়েকদিনে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আর অন্যান্য চালগুলোর দামও একই হারে মিলগুলো বাড়িয়েছে।

মণ্ডল বলেছেন, মিল থেকে তারা যখন বেশি দরে চাল কিনেছেন, সেটা তাদের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আরো বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে সরু মিনিকেট চালের দাম খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, তারা একটি গবেষণায় দেখেছেন, দেশে শত শত চালের মিলের মধ্যে ৫০টির মতো মিল বাজার প্রভাবিত করে থাকে। এই বছরেও মৌসুমের শেষে এবং বন্যার কারণে তাদের বাজার প্রভাবিত করার বিষয়টি দৃশ্যমান হয়েছে।

চালকল মালিকদের সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী বলেছেন, আমরা যদি নির্ধারিত দামে চাল বিক্রি করি, এরপরে সেটা যখন পাইকারি ও খুচরা বাজারে যাবে তখন দাম আরো বেড়ে যাবে, সেটাও যেন মনিটর করা হয়, সেটা বৈঠকে জানিয়েছি।

সরকার বলছে, তারা মিলগেট, পাইকারি বাজার এবং খুচরা বাজারে নজরদারি জোরদার করবে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement