২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তিন বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৮ শতাংশে নেয়ার উচ্চাভিলাষ

-

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন বিপর্যস্ত, বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন দীর্ঘস্থায়ী মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই সরকার আগামী তিন অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উচ্চাভিলাষী টার্গেট নিয়েছে। সরকারের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে আট দশমিক ২০ শতাংশ এবং পরবর্তী দুই অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করা হয়েছে যথাক্রমে আট দশমিক ৩০ এবং আট দশমিক ৪০ শতাংশ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মধ্যমেয়াদি দৃশকল্প’-এ চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এর আগে জিডিপি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছিল। যেমন বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো কমে ১ শতাংশে আসতে পারে। একই সাথে তারপরের অর্থবছরে (২০২১-২২) এই প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ২ দশমিক ৮ থেকে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। আইএমএফের পক্ষ থেকেও প্রায় একই ধরনের প্রক্ষেপণ করা হয়।

জিডিপির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হচ্ছে, মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর প্রক্ষেপণ অনুসারে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ (আগে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ) এবং আগামী অর্থবছরে অর্থনীতি তার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে ধরে নিয়ে প্রবৃদ্ধির হার প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। পর্যায়ক্রমে ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে তা প্রক্ষেপণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৩০ এবং ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।

অন্য দিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৫.৫, ১৩.৭ এবং ৫.৩ শতাংশ। বিশ্ব এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি কোভিড-১৯ প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করবে এবং ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ ও বিভিন্ন সেক্টরে চলমান নানামুখী সংস্কারকার্যক্রম এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে মধ্য মেয়াদে গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের ওপরে প্রক্ষেপণ করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, বর্তমান অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন সম্ভব নয়। কারণ আমরা করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সামষ্টিক কাঠামোতে আগামী অর্থবছরে সরকারের নেয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন অবাস্তব। এ অবস্থায় অর্জন করা একেবারেই অসম্ভব। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ আসার তো আমি কোনো জায়গা দেখি না।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, করোনার কারণে চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ থেকে ৩ শতাংশ হতে পারে। শুধু তাই নয়, এর পরের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো কমে হবে ১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। তারপরের অর্থবছরে (২০২১-২২) এ প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ২ দশমিক ৮ থেকে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। তবে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের এ পূর্বাভাষকে ‘অপরিপক্ব’ হিসেবে বর্ণনা করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এ সময়ে বিশ্বব্যাংকের এ তথ্য দেয়া ঠিক হয়নি। বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোনোভাবে চলতি অর্থবছরে ৬ শতাংশের নিচে নামবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল