২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টিকফা বৈঠকে আশানুরুপ অগ্রগতি নেই

টিকফা বৈঠকে আশানুরুপ অগ্রগতি নেই - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধি টিকফার উদ্দেশ্য হলেও এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জিত হয়নি এমন মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি খাত পঞ্চম টিকফা সভার অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

গতকাল ঢাকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্টের (টিকফা) আওতায় গঠিত টিকফা ফোরামের পঞ্চম বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ( ইউএসটিআর) এর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ক্রিস্টোফার উইলসন।

এর আগে গত চারটি টিকফা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হলেও এবার সেটি করা হয়নি। তাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরামের সভায় আগত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে মহান মার্চ ও মুজিববর্ষের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধি টিকফার উদ্দেশ্য হলেও এ ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের বেসরকারি খাত পঞ্চম টিকফা সভার অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ সভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সভায় মন্তব্য করা হয়।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টিকফা বৈঠকে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশি পণ্যের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার হ্রাস, জিএসপি সুবিধা পুণঃপ্রবর্তন, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন সচিব। সভায় বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা হয়।

সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানি বাজার এবং অন্যতম বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগী। তিনি বাংলাদেশে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে উল্লেখ করেন।

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থসামাজিক খাতে উন্নয়ন, জাতীয় পরিকল্পনা "ভিশন ২০২১" ও "ভিশন ২০৪১" এবং ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন এর বিষয়সমূহ উল্লেখ করে সামগ্রিক সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

বাংলাদেশ টিকফার বর্তমান বৈঠকে জিএসপি সুবিধা বিবেচনার দাবি করলে ইউএসটিআর এর প্রতিনিধিদলের নেতা রাজনৈতিক, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন ডব্লিউটিও এর বিধি-বিধানের বিষয়ে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রদত্ত জিএসপি অনুরূপ ইবিএ সুবিধা পেয়ে আসছে বিবেচনায় ইউএসএ কে বিষয়টি পুনঃবিবেচনার আহবান জানানো হয়। ইউ এস প্রতিনিধিদলের নেতা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার আশ্বাস দেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে হতে মেধাস্বত্ব (আইপিআর), ডিজিটাল ট্রেড (ক্রস বর্ডার ডেটা ফ্লো), টেকনোলজি ট্রান্সফার বিষয়ে বাংলাদেশে বিদ্যমান বিধি বিধান ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সভায় বাংলাদেশের লেবার পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। শ্রম আইনের আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা ও আইএলও এর নীতিমালার সাথে সংগতিপূর্ণ করে ২০১৮ সালে সংশোধিত লেবার আইন এর প্রবিধানসমূহ সভায় অবহিত করা হয়। শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে কোর্ট স্থাপন, লেবার ইন্সপেকশন বিষয়ে অবহিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করা হয় বলে প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement