২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পেঁয়াজের দাম বাড়লেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে, দাবি পরিকল্পনামন্ত্রীর

- নয়া দিগন্ত

পেঁয়াজের দাম বাড়লেও অক্টোবর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কম ছিল। অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.৫৪ শতাংশ। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এ সব তথ্য জানান।

বিফ্রিংয়ে জানানো হয়, অক্টোবরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ৫.৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.৩০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৪৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.৯২ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী দাবি করেন, পেঁয়াজের দাম বাড়লেও সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যেমন, সবজি, মাছ, ফল, চালের দাম কমেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৩৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.৪১ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৫৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.৪০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৯৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.৪২ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৬৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.৮০ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাড়িয়েছে ৫.৩১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫.১০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬.০৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬.৬১ শতাংশ।

বাজারের জিনিসপত্রের দামের সাথে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এই তথ্য বিভ্রান্তিকর। বাজারে পণ্য মূল্য চড়া এবং পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে থাকলেও পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে- বাজারে পণ্যমূল্য কমছে। যার কারণে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। পাশাপাশি মজুরি হার হ্রাসের কারণও ব্যাখ্যা করতে পারেননি পরিসংখ্যান সচিব ও মহাপরিচালক।

বিবিএস দাবি করেছে, শাকসবজি ও পণ্যমূল্য কমছে বলেই সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। তবে বাস্তবতা হলো- বাজারে কাঁচা মরিচ ও আলু ছাড়া ৫০ টাকার নিচে কোনো পণ্যের দাম নেই। বিবিএসের দাবি, শীতের সবজির দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে শিম ১২০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement