২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডেঙ্গু রোগীর ১৬ শতাংশই ডিএসসিসি এলাকার

ডেঙ্গু রোগীর ১৬ শতাংশই ডিএসসিসি এলাকার - ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছর এখনো পর্যন্ত দেশে মোট এক হাজার ৪৮৭ জন ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৩২ জনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার। যা মোট রোগীর প্রায় ১৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২৩ মে) এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএসসিসির ভারপ্রাফত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন। এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১২২ জন এবং অন্য বিভাগে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫৫৭ জন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৯৮ ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৫২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ডেঙ্গুর এমন পরিস্থিতিতে নগরীর বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় সভায় বসে ডিএসসিসি। ‘এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ’ শীর্ষক ওই সভায় এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ হতে সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছ হতে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে গণপূর্ত অধিদফতর, রেলওয়ে, ওয়াসা, পুলিশ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট অন্য অধিদফতর ও বোর্ড ইত্যাদি অনেক সংস্থার অনেক আবাসন ও স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া নির্মাণাধীন প্রায় শতভাগ ভবনে আমরা মশার লার্ভা পাই। বিশেষ করে চৌবাচ্চাসহ অন্য যেসব অবকাঠামো করা হয়। সেখানে পানি জমে থাকে। আমরা চাই, সেসব নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় যেন এডিসের প্রজননস্থল সৃষ্টি না করে এজন্য আপনারা যথাযথভাবে তদারকি করবেন। আপনারা সেসব জায়গায় এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল না করতে পারলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা তা নির্মূলের ব্যবস্থা নেব। কিন্তু পরবর্তীতে সেসব স্থাপনার সুরক্ষা আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গু হতে ঢাকাবাসীকে সুরক্ষা দিতে আমরা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি।

মেয়র আরো জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন হতে চার মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে এবং আগামী ১৫ জুলাই হতে তিন মাসব্যাপী কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপ-পরিচালক ডা. মো: আবুল কালাম আজাদ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরজাহান আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement