২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। বিকেল ৩টা নাগাদ উপকূল এবং সন্ধ্যা নাগাদ মিয়ানমারের সিতওয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অতি ভারী বৃষ্টির প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হওয়া আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে : সেভ দ্য চিলড্রেন
আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কক্সবাজারে সীমান্ত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান ওনো ভন মানেন শনিবার (১৩ মে) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু বাস করে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে শিশুরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, সেখানকার আশ্রয়কেন্দ্র এবং হোটেল, রিসোর্টসহ সব জায়গায় অন্তত আড়াই লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এই মানুষদের প্যাকেটজাত রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

‘ঘূর্ণিঝড় মোখা অগ্রসর হচ্ছে মিয়ানমারের দিকে’
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি যে অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করছে সেটা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে।

তিনি জানান, মিয়ানমারের সিতওয়ে দিয়ে অতিক্রম করাতে বাংলাদেশে ঝুঁকির পরিমাণ কম। বিশেষ করে কক্সবাজার, টেকনাফ এসব অঞ্চলে ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা কম। বেশি ঝুঁকি হবে মিয়ানমার ও তার দক্ষিণের অঞ্চলে।

মিয়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির খবর
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মিয়ানমারের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।

দেশটির সেনাবহিনীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে রাখাইন রাজ্যের থানদউয়ে বিমানবন্দরে একটি ভবন ধসে পড়েছে। সেখানকার বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়া প্রবল ঝড়বৃষ্টির সাথে বাড়তে শুরু করেছে পানির প্রবাহ, ইতোমধ্যে সিতওয়েতে হাটু পানি জমে গেছে।

বাসিন্দারা জরুরি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষের দেয়া বিভিন্ন নম্বরে।

মিয়ানমারে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, দুপুর ১২টার পর থেকেই বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করে। এর প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসতবাড়ি বিশেষ করে টিনের বাড়িঘর এবং অস্থায়ী আবাস ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। অনেক বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে ঝড়ে। সিতওয়েতে মোবাইল টাওয়ার ভেঙ্গে পড়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই দেশটিতে, ওয়াইফাই সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য এখন শুধু মোবাইল ডাটাই কাজ করছে মিয়ানমারে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement