২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গাদের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জাতিসঙ্ঘের প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গাদের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জাতিসঙ্ঘের প্রস্তুতি। - ছবি : সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো প্রস্তুতি নিয়েছে।

শনিবার জাতিসঙ্ঘ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মতে, ঘূর্ণিঝড় মোখা সরাসরি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা রয়েছে। আইওএমের ব্যবস্থাপনায় থাকা কক্সবাজারের ১৭টি ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতির জন্য ১০০ জন শরণার্থী স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষা-সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শরণার্থীদের জন্য জরুরি আশ্রয়-সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩৩টি মোবাইল মেডিক্যাল টিম ও ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রেখেছে। জাতিসঙ্ঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন ২৩০ টন শুকনা খাবার ও সাড়ে ২৪ টন প্রোটিন বিস্কুট প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়াও প্রয়োজন হলে প্রতিদিন ৫০ হাজার মানুষকে গরম খাবার বিতরণের প্রস্তুতি সংস্থার রয়েছে।

আইওএমের ডেপুটি চিফ অব মিশন জানিয়েছে, ‘ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বৃষ্টিপাত, ভূমিধ্বস ও বন্যার কারণে সমুদ্রের কাছে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এর জন্য আমরা শঙ্কিত। দুর্যোগের জন্য ক্যাম্পগুলোতে যাতায়াত বাধাগ্রস্থ হতে পারে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল টাওয়ারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।’

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ভাসানচরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও মানবিক অংশীদারদের সাথে কাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement