১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকায় ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে : সমীক্ষা

করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য টিকা নেয়াসহ সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। - ছবি : ইউএনবি

রাজধানীতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের সাব ভেরিয়েন্ট বিএ.৫-এর সংক্রমণ মারাত্মক হারে বাড়ছে। ওমিক্রনের এই সাব ভেরিয়েন্টটিকে অতীতের চেয়ে অধিক সংক্রামক মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিআর,বি) ঢাকায় ওমিক্রন সাব-ভেন্টিয়েন্ট বিএ.৫-এর দ্রুত বিস্তারের কথা জানায়।

গত ছয় সপ্তাহ (চলতি বছরের ১৪ মে থেকে ২৪ জুন) এই সাব-ভেরিয়েন্টের বিস্তার সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়।

আইসিডিআর,বি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে জানায়, এই সময়ে করোনা শনাক্ত হওয়া ৫২ জনের মধ্যে ৫১ জনই ওমিক্রনের বিএ.৫ সাব-ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। বাকি একজন বিএ.২ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত।

আইসিডিআর,বি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্স-কোভ-২ ভেরিয়েন্টগুলো পরিবর্তিত হয়ে নতুন নতুন রূপ লাভ করে।

ভিন্ন আরেক গবেষণায় দেখা যায়, ৪০ জন ওমিক্রন বিএ.৫ সংক্রমিত রোগীর মধ্যে ৩৮ জন রোগী কমপক্ষে করোনা টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ জন টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, ২১ জন টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এবং একজন শুধুমাত্র টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন।

এছাড়াও ৩৯ জন করোনা রোগীর হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ ছিল এবং একজনের কোনো উপসর্গ ছিল না। শুধুমাত্র একজনকে এক দিনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। এতে বোঝা যায় এই সাব-ভেরিয়েন্টের তীব্রতা কম।

বিশেষজ্ঞেরা সকলকে করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য টিকা নেয়াসহ সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ জানান। এছাড়া এখনো যারা টিকা নেননি, তাদের সকলকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।

গত ১৯ মে ঢাকায় প্রথম সন্দেহভাজন ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্ট বিএ.৫ শনাক্ত করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথমবার শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৬ ডিসেম্বর।

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ও সাতজনের এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement