১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২০২২ সালের মধ্যে করোনার টিকাদান সম্পন্নের আশা স্বাস্থ্য অধিদফতরের

- ছবি- সংগৃহীত

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ অনুমিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তির আশা ব্যক্ত করে বলেছে, ত্বরিত টিকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ২০২২ সালেই দেশের ৮০ ভাগ জনসংখ্যাকে টিকা দেয়া সম্পন্ন করা যাবে বলে তারা আত্মবিশ্বাসী। রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অধ্যাপক ডা: আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এই আশাবাদের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘টিকা উৎপাদকদের সাথে আমাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী আমরা আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

ডা: খুরশিদ আলম বলেন, বাংলাদেশ আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রায় ১৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করতে চাইছে। পরিকল্পনা বাস্তায়নের জন্য আমরা পরবর্তী মাসগুলোতে বাকি প্রয়োজনীয় টিকা সংগ্রহ করার আশা করছি।

ডিজিএইচএস প্রধান বলেন, লক্ষ্যমাত্রার ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার জন্য টিকা সংগ্রহ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানির সাথে চুক্তি চূড়ান্ত বা সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ চীনের সিনোফার্ম থেকে তিন কোটি ডোজ, রাশিয়া থেকে এক কোটি ডোজ স্পুৎনিক ভি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাত কোটি ডোজ জনসন অ্যান্ড জনসন ও সাড়ে ছয় কোটি ডোজ ফাইজার ও জাপান থেকে ৩০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পাবে।

বাংলাদেশ কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বিনামূল্যে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছে। যদিও এই বিশেষ উৎস থেকে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এখনো কিছু বাধা রয়ে গেছে। জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিনের একক ডোজেই টিকাদান সম্পন্ন হয়। এর মানে এই টিকা দিয়ে সাত কোটি মানুষকে টিকদানের আওতায় আনা যাবে। তবে অন্য টিকাগুলো প্রত্যেককে দুই ডোজ করে দিতে হবে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় তিন কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে। এখন প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। সংখ্যাটি ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমাদের এখন প্রতি মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কারণ তৃণমূলে অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।’

বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও এসআইআইর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে তিন কোটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ২০২২ সালের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণের পথে রয়েছে।’


সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২৮ আগস্ট পর্যন্ত এক কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন। আর ৭৬ লাখের বেশি লোক টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে কোর্স শেষ করেছেন। এ পর্যন্ত তিন কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement