২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এভাবে ৬ মাস সাধারণ ছুটি দিলেও লাভ হবে না!

বহু বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ থাকায় সরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে - সংগৃহীত

অভাবনীয় এক পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনাভাইরাসের বিস্তার এতো দ্রুত গতিতে হবে, বাংলাদেশে অনেকে সেটি ভাবতেই পারেননি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে বিস্তার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা যে চিত্র দিচ্ছেন সেটি আঁতকে ওঠার মতো। কারণ, সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে এখনো আসেনি।

এখন বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের চূড়ান্ত ধাক্কা আসতে পারে জুন অথবা জুলাই মাসে। অথচ এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের কাছাকাছি। মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে।

জানুয়ারি মাসে চীন যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রাণপণ লড়াই চালিয়েছে, তখন বাংলাদেশ ছিল অনেকটাই নির্ভার।

অবশ্য ইউরোপ-আমেরিকাও বিষয়টি নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায়নি। বাংলাদেশের ভেতরে অনেকেই এই ভাইরাসের কথা শুনে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। চীনের 'খাদ্যাভ্যাসকে' দায়ী করে নানা রকম হাস্যরস করেছেন অনেকে। বাংলাদেশের অনেক সুপরিচিত চিকিৎসক বেশ জোরেশোরে বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখানে হবে না। কারণ বাংলাদেশের তাপমাত্রা বেশি। অথচ এর তিন মাসের মধ্যেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ পুরো সমাজে জেঁকে বসেছে।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল।

কিন্তু এই সাধারণ ছুটির মেয়াদ দু'মাসেরও বেশি সময় ছাড়িয়ে যাবে সেটি অনেকে ভাবতেই পারেননি। সরকারি ছুটির মেয়াদ দফায়-দফায় বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো সুড়ঙ্গের শেষে কোনো আলোর দেখা মিলছে না।

বাংলাদেশের প্রতিদিন যত টেস্ট করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্তত ১৫ শতাংশের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যাচ্ছে।

এ হার সহসা কমে আসার ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোভিড১৯ সংক্রান্ত অন্যতম উপদেষ্টা আবু জামিল ফয়সাল বিবিসি বাংলাকে বলেন , " এই সংক্রমণ আরো বেড়ে যেতে পারে। এই পার্সেন্টেজ দিয়ে খুব বেশি কিছু নির্ধারণ করার নাই। এই হারে যদি চলতে থাকে তাহলে অনেকদিন সংক্রমণ চলবে।"

আতঙ্ক, উদ্বেগ ও হতাশা
ঢাকাকে এখন ভিক্ষুকের শহর বললে অত্যুক্তি হবে না। ঢাকা শহরে এখন যেকোনো জায়গায় গেলেই ভিক্ষুকের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ার মতো। এত ভিক্ষুক এর আগে কেউ কখনো দেখেছে কি না সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে।

শহরের যেকোনো সুপার শপ, মুদি দোকান কিংবা কাঁচাবাজারে গেলেও চারপাশ থেকে ভিক্ষুক ঘিরে ধরবে। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি এবং উত্তরাসহ শহরের অভিজাত এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনে ভিক্ষুকদের বসে থাকতে দেখা যায়।

এমনকি মধ্যবিত্ত-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতেও ভিক্ষুকদের আহাজারিতে মন ভারী হয়ে আসে।

নিজের পেশাগত কাজে অনেক সময় মধ্য রাতে বাসায় ফিরেতে হয়। রাত বারোটার সময় ঢাকার এয়ারপোর্ট রোডের বিভিন্ন জায়গায় শত শত ভিক্ষুক বসে থাকতে দেখা যায়।

এদের সবাই সবসময় ভিক্ষা করে না। এসব ভিক্ষুকদের মধ্যে অনেকে আছেন রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক কিংবা গৃহপরিচারিকা।

বাংলাদেশে তথাকথিত লকডাউন দেখিয়ে দিয়েছে এদেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিনের রোজগারের উপর নির্ভরশীল। একদিন আয় না থাকলে রাস্তায় নেমে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয় অনেকে।

বাংলাদেশে যেকোনো সংকট তৈরি হলেই সবার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কথা উঠে। তাদের জীবন-জীবিকা নিয়ে যতো আলোচনা হয়, অন্য শ্রমিকদের নিয়ে ততটা আলোচনা হয় না।

'লকডাউনের' কারণে যে পরিবহন শ্রমিক, রিকশাচালক, অটোমোবাইল মিস্ত্রি রাস্তায় নেমে হাত পাততে বাধ্য হয়েছে তাদের কথা কেউ ভেবেছে কি না সেটি এক প্রশ্ন।

শুধু তাই নয়, শহরে যারা বিভিন্ন ধরণের ছোটখাটো দোকান চালিয়ে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে তাদের অবস্থাও শোচনীয়।

ঢাকার মিরপুরে একটি ছোট লন্ড্রি চালান ফিরোজ আহমেদ। স্বাভাবিক সময় প্রতিমাসে তার আয় ছিল ২০ হাজার টাকার মতো।

কিন্তু লকডাউনের গত দুই মাসে তিনি ৫০০ টাকাও আয় করতে পারেননি। "করোনাভাইরাস আসার পর থেকে মানুষ জামা-কাপড় ইস্ত্রি করতে দেয়না। একদম বন্ধ করে দিছে। দোকান বন্ধ করে কয়েকদিন সবজি বিক্রি করছি। ঐ টাও বিক্রি হয় না। মানুষ তো নাই, " বলছিলেন আহমেদ।

মধ্যবিত্তের হাহাকার কেউ শুনছে?
লকডাউন শুরুর পর থেকে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

কিন্তু এ কার্যক্রম অনেকটা সিন্ধুতে বিন্দুর মতো। প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ।

কিন্তু মধ্যবিত্তের কী অবস্থা? এদিকে কারো নজর নেই।

প্রতিমাসের বেতনের উপর নির্ভর করে যারা সংসার চালাতেন, তাদের জীবন এখন থমকে যাবার উপক্রম। বহু প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের হয়তো বেতন বন্ধ করে দিয়েছে, নয়তো পুরো বেতন দেয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠানে ছাঁটাই হয়েছে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানালেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে অর্ধেক বেতন দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, "আমি বেতন পাই ত্রিশ হাজার টাকা। এর মধ্যে দেয়া হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। বাসা ভাড়া দিতে হয় বারো হাজার টাকা। তাহলে চলবো কিভাবে?"

'লকডাউন' এখন তাদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে মধ্যবিত্ত অনেকেই এখন উদ্বিগ্ন।

একদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে চলেছে, অন্যদিকে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা - এ দুটো মিলিয়ে অনেকেই এখন হতাশাগ্রস্ত। সহায়তার প্রয়োজন থাকলেও লোকলজ্জার কারণে মধ্যবিত্তরা সেটি চাইতেও পারছেন না।

আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেই?
৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো যখন করোনাভাইরাস সনাক্ত হলো তখন এতোটা উদ্বেগ ছিল না। এরপর থেকে প্রতিদিন কয়েকজন করে বাড়তে থাকে।

কিন্তু ২১ মার্চ ঢাকার টোলারবাগে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে একজনের মৃত্যুর পর ঢাকা শহরজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শহরের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত তখন অনুধাবন করতে শুরু করলো তারা আর নিরাপদ নয়। অবশ্য করোনাভাইরাস নিয়ে নিম্নবিত্তের মধ্যে কোনো চিন্তা আগেও ছিল না, এখনো নেই।

টোলারবাগের সে ব্যক্তি যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। ফলে উদ্বেগ আর আতঙ্কের কারণে একের পর এক বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হলো।

চিকিৎসার জন্য রোগীরা হাসপাতালের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেও কোনো চিকিৎসকের দেখা পেলেন না। ফলে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে-ছুটতে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে ধরেই নিয়েছেন যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যাবেন।

হতাশা প্রকাশ করে ঢাকা একজন বাসিন্দা সানোয়ার পারভেজ বলেন, "কিছু বলার নেই। হাসপাতালে যাওয়ার চেয়ে নিজের ঘরে মরে যাওয়াটাই ভালো।"

কোভিড১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেবার জন্য ঢাকা শহরে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে সরকার।

কিন্তু সেসব হাসপাতালের চিকিৎসার মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের এমনিতেই আস্থার সঙ্কট ছিল। নেহাত বাধ্য না হলে কেউ এদেশে চিকিৎসা করাতে চান না। যাদের সামর্থ্য আছে তারা চলে যান বিদেশে।

ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই ভঙ্গুর চিত্র করোনাভাইরাস সংকটের মাধ্যমে সবার সামনে আবারো উন্মোচিত হয়েছে।

অবশ্য ডাক্তাররা পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য পিপিই'র ঘাটতি নিয়ে অনেকে জোরালো অভিযোগ তুলে ধরেছেন। ডাক্তার এবং নার্সরা যাতে অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে না পারেন সেজন্য একের পর নির্দেশনা জারী করেছে সরকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি হাসপাতালের এক চিকিৎসক অভিযোগ করেন, কোভিড১৯ এর সংক্রমণ কতটা মারাত্মক হতে পারে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোন ধারণাই ছিলনা। ফলে পরিস্থিতি মোকাবেলার কোন প্রস্তুতিও ছিলনা।

"যাদের প্রস্তুতি নেবার কথা,তারা প্রস্তুতি নেয়নি। কিন্তু দেখেন, এখন দূরত্ব তৈরি হল ডাক্তার ও রোগীদের মাঝে।"

সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এ সময়টিতে বাংলাদেশের সমাজের একটি অংশের অমানবিক আচরণ অনেকেই লক্ষ্য করেছে।

আক্রান্ত কিংবা মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে একঘরে করে দেয়া কিংবা বাড়ি ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগও উঠেছে। এর ফলে অনেকের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ থাকলেও তারা টেস্ট করাতে যাননি। তাদের মনে ভয় তৈরি হয়েছে যে রিপোর্ট পজিটিভ হলে হয়তো বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।

হতাশা প্রকাশ করে চট্টগ্রামের বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বিবিসিকে বলেন, "আমার যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে আমি কাউকে কিছু বলবো না। বাসার ভেতরে একটা রুমে দরজা বন্ধ করে থাকবো।"

শুধু রোগীদের ক্ষেত্রে নয়। বহু ডাক্তার এবং নার্সকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে বাড়ি ছেড়ে দিতে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সরকারের তরফ তেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, কোন বাড়ির মালিক যদি ভাড়াটিয়াদের বাসা ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করে তাহলে বিষয়টি যেন পুলিশকে জানানো হয়।

এ অমানবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে গ্রামেও। সন্দেহভাজন কোভিড১৯ রোগীর মৃত্যু হলে তাকে কবরস্থানে দাফন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণ বাংলাদেশের সামাজে একটা বড় ধাক্কা দিয়েছে।

জীবন নাকি জীবিকা
প্রথমবার যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তখন অনেকে বিষয়টিকে সাময়িক হিসেবে ধরে নিয়েছিলেন।

কিন্তু এখন প্রায় দুইমাসের মাথায় এসে মানুষের সামনে এখন বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে - জীবন নাকি জীবিকা?

টানা দুইমাস জীবিকার উপায় থমকে যাবার পর এখন অনেকেই ভাবতেন যে কোন একটি বিষয় নিয়ে।

এপ্রিল মাসের শুরুতে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢাকা মুখি গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্রোত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল যে তাদের কাছে জীবনের চেয়ে জীবিকা গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকার বাসিন্দা লাবনি খাতুন মনে করেন, জীবিকা না থাকলে জীবনের কোন দাম নেই। তার প্রশ্ন হচ্ছে - আয় রোজগার ছাড়া মানুষ কতদিন চলতে পারে?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে করোনাভাইরাস হয়তো কখনোই পুরোপুরি নির্মূল হবে না।

এতোদিন যারা ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন ,তাদের জন্য এ বক্তব্য একটি বিশাল ধাক্কা।

বাংলাদেশে যেভাবে লকডাউন দেয়া হয়েছে সেটিকে অনেকেই ভাঙ্গা কলসিতে পানি ঢালার মতো মনে করছেন অনেকে।

এখানে সামাজিক কিংবা শারীরিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। গার্মেন্টস কারখানা খোলা, হাট-বাজারে মানুষের ভিড়, শপিং মল খোলা।

এভাবে ছয় মাস সাধারণ ছুটি বজায় রাখলেও কোনো লাভ হবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সমাজের যারা উচ্চবিত্ত, অর্থাৎ যাদের দৈনন্দিন কিংবা মাসিক আয়ের উপর নীর্ভর করতে হয় না, তাদের অনেকেই সাধারণ ছুটি আরো বাড়ানোর পক্ষে।

তবে জীবিকা নিয়ে সমাজের যে অংশটি উদ্বিগ্ন তাদের চিন্তাধারা ভিন্ন।

লাবনি খাতুন বলেন, "কোন মহামারি পুরোপুরি শেষ হয়না। উদ্বেগের মধ্যে থাকতে থাকতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায় এবং শিখে যায় অসুখের মধ্যেও কিভাবে বাঁচতে হবে।"
সূত্র : বিবিসি

 


আরো সংবাদ



premium cement