২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনায় গার্মেন্টস মালিকের মৃত্যু, হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ

করোনায় গার্মেন্টস মালিকের মৃত্যু, হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ - প্রতিকী ছবি

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে প্রিন্স গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (৬০) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রাত সাড়ে নয় টায় সরকার নির্ধারিত খিলগাও কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন তিনি।

মৃত ব্যক্তির ছোট ভাই জানান, গত ২৮ মার্চ শরীরে জ্বর অনুভব করেন আমার বড় ভাই। এছাড়া করোনার আর কোনো লক্ষণ ছিলনা তার শরীরে। এরপর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বরের ওষুধ খেয়ে সুস্থ্য ছিলেন তিনি। ৫ তারিখে নিজের কারখানাও পরিদর্শন করে এসেছেন। এরপর ৬ এপ্রিল অসুস্থ্য অনুভব করলে পুরান ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

নিয়মিত চেকআপে কোনো ত্রুটি না থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে আইইডিসিআরের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করান। পরের দিন ৭ এপ্রিল সন্ধ্যার পর অসুস্থ্য বোধ করলে আবারও আসগর আলী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা আইইডিসিআরে যোগাযোগ করে তার শরীরে করোনা পজেটিভ হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হন। পরের দিন (৮ এপ্রিল) দুপুর ২ টায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এসময় অনেকটা সুস্থ্যবোধ করায় হাসপাতালের চতুর্থ তলার এ ব্লকে নিজেই হেটে ওঠেন তিনি।

ভর্তি হওয়ার ৭ ঘন্টা পেরিয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মী তার খবর নিতে যাননি। এমনকি তাকে কিছু খেতেও দেয়া হয়নি। এমন খবর শুনে হাসপাতালের পরিচালক ডা: শিহাব উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকজন। পরে একজন চিকিৎসক তাকে দেখতে আসেন।

এরপর হাসপাতালের টেলিফোনে কর্তৃব্যরত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে অসুস্থ্য ভাইয়ের ব্লাড প্রেশার, জ্বর ও ডায়াবেটিস এর খবর জানতে চাইলে চিকিৎসক তাকে জানাতে পারেনি। এমনকি ‘ডায়াবেটিস পরীক্ষার যন্ত্র কি আপনার কিনে দিয়ে গেছেন’এমন প্রশ্ন করেন চিকিৎসক। এছাড়াও রোগীকে যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা মান সম্মত না হওয়ায় গ্রহণও করতে পারেননি তিনি। পরে নিজের কাছে থাকা কিছু ড্রাইফুড খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৯ টায় তার আরেক ভাইয়ের সাথে কথা বলেন রোগী। এসময়ের মধ্যে কোনো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মী তার খবর নিতে আসেনি বলে তার ছোট ভাইকে জানান।

এরপর সকাল ৯ টা ১০ মিনিট থেকে অসুস্থ্য বড় ভাইয়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ছোট ভাই। কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়ে দুপুর ১১ টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর দুপুর সাড়ে বারটায় তাকে জানানো হয় তার ভাইকে ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে তার চিকিৎসা চলছে। এর বেশী জানাতে রাজী হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দুপুর সাড়ে তিনটায় হাসপাতালে গিয়ে তারা জানতে পারেন তার ভাই সকালে বাথ রুমে গিয়ে পড়ে সেখানেই মারা যায়। এরপর তাদের যোগাযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি বাথরুমের দরজা আটকানো দেখতে পান। পরে সেটির দরজা ভেঙ্গে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানতে চাইলে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালক ডা: শিহাব উদ্দীন বলেন, মৃত ব্যক্তি একজন সম্মানিত সিআইপি। তিনি ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, প্রেসার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি তিনি বাথরুমে পড়ে আছেন। এরপর আমরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে জানতে পারি তিনি মারা গেছে। আমরা তার চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। তার পরেও যদি তার পরিবারের কোনো অভিযোগ থাকে সেটির প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।


আরো সংবাদ



premium cement
মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন

সকল