২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাবলিগের সব জামাতকে ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ

তাবলিগের সব জামাতকে ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ - সংগৃহীত

তাবলীগের সব জামাতকে নিজ নিজ ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ মুরব্বিরা। সারাদেশের মারকাজগুলোর কাছে এই তথ্য পাঠানো হয়েছে।
দিল্লির নিজামুদ্দিন কারকাজের পর বাংলাদেশের এক জায়গায় তাবলীগ জামাতে অংশ নেয়া মুসল্লি করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে শনিবার দ্রুত পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের জুবায়েরপন্থী অংশের সাথে সংশ্লিষ্ট মুফতী জহির ইবনে মুসলিম গতকাল নয়া দিগন্তের এই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুরব্বিরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশের কোনো মসজিদেই তাবলিগের কোনো জামাত অবস্থান করতে পারবে না। সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে সাদপন্থীদের জামাতও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে এই পন্থীরা বাংলাদেশের শীর্ষ মারকাজ কাকরাইলে অবস্থান করছেন।

জানতে চাইলে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, সাদপন্থীরা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এখানে অবস্থান করছেন তাদের পলা অনুযায়ী। এখানে আসার পর আর কোন জামাত গঠন করেনি বলে জানিয়েছে। এখানে মসজিদে বাহির থেকে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না এবং বের হতে দেয়া হচ্ছে না। কেউ যাতে বের না হয় কড়া নির্দেশনা দেয়া আছে।
এর আগে জুবায়েরপন্থীদের চলমান জামাতগুলোতে শুধু মসজিদে অবস্থান করে ব্যক্তিগত ইবাদাত করার জন্য বলা হয়েছিল।

মুফতী জহির এ ব্যাপারে বলেন, দেশে আক্রান্ত হওয়ার খবরের আগেই ভারতের নিজামুদ্দিন মারকজের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের মুরব্বিরা বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করে আসছিলেন। আগেই চাইলে যে কেউ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পরবেন এমন নির্দেশনা ছিল। সর্বশেষ কোনো জামাতই এই মুহূর্তে আর চলবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনোভাবেই মসজিদে অবস্থান না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে সবমিলে তাবলীগের প্রায় ৫০০ জন বিদেশীকে রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে সাদপন্থীদের ৩৪১ জন রয়েছেন। বাকি দেড় শতাধিক জুবায়েরপন্থী। জুবায়েরপন্থীদের রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি মাদরাসায় রাখা হয়েছে। আর সাদপন্থীদের বড় অংশ রয়েছেন কাকরাইলে।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল জানান, কাকরাইলে সাদপন্থীদের ১৯১ জন বিদেশী মেহমান রয়েছেন। আর তাদের দেখাশুনার জন্য আরো ৪০/৪৫ জন রয়েছেন। এদের কারো বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

সাদপন্থীদের ৩৪১ জনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ১৬১ জন, ভারতের ১৪৩ জন, ইথিওপিয়ার ১০ জন, মিসরের ৩ জন, ফিলিপাইনের ২ জন ও থাইল্যান্ডের ৩ জন রয়েছেন রয়েছেন।

তাবলীগ সূত্র জানায়, বিশ্ব ইজতেমা ও এসএসসি পরীক্ষার পর বড় সংখ্যায় তাবলিগের জামাত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে গত মাস থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন জামাত খুব একটা পাঠানো হয়নি। সারাদেশে জামাতের সংখ্যা এমননিতেই খুব বেশি সংখ্যায় ছিল না।


আরো সংবাদ



premium cement