২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ডিসি-ইউএনওদের চিঠি

করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে জেলা-উপজেলায় ১০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক

করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে জেলা-উপজেলায় ১০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক - সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের দাফন বা সৎকারে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ জন (তিনজন নারীসহ) স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাদেরকে স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন/আল মারকাজুল প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসন অনুবিভাগের উপসচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)।
ডিসি ও ইউএনওদের কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘..করোনাভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে জেলা/উপজেলা পর্যায়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু কিছু রোগের মৃত্যুকে করোনাজনিত মৃত্যু ভেবে করোনা আতঙ্কেও কারণে মৃতদেহ সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে লোকজন ভীত হচ্ছে এবং অনীহা প্রকাশ করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৃতদেহ সৎকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় পর্যায় (জেলা/উপজেলা) হতে কমপক্ষে ১০ জন (তিনজন নারীসহ) ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। এই ১০ জন লাশ সৎকারের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করবে। তাদেরকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন/আল-মারকাজুল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ’

স্থানীয় পর্যায়ে লাশ দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমপক্ষে ১০ জন ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নির্বাচন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণের জন্য স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন/আল-মারকাজুলের সাথে যোগাযোগের জন্য দেশের সব ডিসি ও ইউএনওকে অনুরোধ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

উল্লেখ্য যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির লাশ দাফন নিয়ে এক ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ দাফনে অনীহা প্রকাশ করে স্বজনেরা। পরে থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে ওই ব্যক্তির জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রেক্ষাপটেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement