২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দেশে করোনাভাইরাস

৮০ বছরের বৃদ্ধসহ নার্স-চিকিৎসকও সুস্থ

- ছবি : সংগৃহীত

গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে একজন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। অর্থাৎ গত ৭২ ঘন্টায় মাত্র একজন এবং এই ৭২ ঘন্টায় করোনার টেস্ট করা হয়েছে ৩০৪টি। সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ৩৩৮টি। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫৩টি।

নিশ্চিত করোনা সংক্রমিত একজনকে পাওয়া গেলেও এর মধ্যেই পূর্বের করোনা সংক্রমিত রোগী থেকে চারজন করোনা মুক্ত হয়ে গেছেন। এটা নিয়ে বাংলাদেশে মোট ১৯ জন করোনা সংক্রমিত হলেন। নতুন একজন নিশ্চিত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিনি ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন নারী।

যে চারজন করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়েছেন এর মধ্যে একজন ডাক্তার ও একজন চিকিৎসক রয়েছে। এবং যে চারজন সুস্থ হয়েছেন তাদের একজনের বয়স ৮০ বছর। দুইজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এদের মধ্যে দু’জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কিছুক্ষণ আগে নিয়মিত অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন রোগ তত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফোরা এসব তথ্য জানান।

প্রেসব্রিফিংয়ে তার সাথে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস’র পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান। পরে প্রেসব্রিফিংয়ে যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক তার বক্তব্যে বলেন, সারাদেশে আমরা এর মধ্যেই ২০০ আইসিইউ প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যেই ভেন্টিলেটর রয়েছে। বাংলাদেশে ১১টি ল্যাবকে প্রস্তুত করা হয়েছে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য। আরো ১৭টি ল্যাবকে প্রস্তুত করা হবে।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ২০০টি আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভেন্টিলেটর আছে। তিনি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে পিপিই দেয়া হয়েছে সেগুলো যেন নষ্ট না হয়।

তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এই সময় সকলেই যেন যার যার কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজের কাজটি করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কথা বলেছি। বার বার হাত ধুয়ে ফেলতে হবে এবং দুরত্ব বজায় রাখা। এটাই প্রতিকার। চিকিৎসার বাইরে যেন কেউ না থাকে।

সেব্রিনা ফোরা বলেন, এটা ডেঙ্গির সময়। এটা ফু’র সময়ও। আমাদের শুধুমাত্র কোভিড-১৯ নিয়ে চিন্তিত হলে চলবে না। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সমস্ত কিট এসেছে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ব্যবহার করি না। আমাদের পরীক্ষা করার সক্ষমতা আছে। আমরা আইইডিসিআরে একদিনে এক হাজার পরীক্ষা করা যায়। লক্ষণ-উপসর্গ না থাকলে পরীক্ষা করা ঠিক নয়। আমরা পরীক্ষা করি না।

কর্মীটোলা হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনার হাসপাতাল করে ফেললে কর্মীটোলার রোগীরা কোথায় যাবেন ? এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, কর্মীটোলা হাসপাতালে যে রোগীরা যেতেন তারা অন্যান্য হাসপাতালে যাবেন।


আরো সংবাদ



premium cement