সম্পর্ক কিভাবে আরো দৃঢ় করব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ মে ২০২৪, ১৬:২৪, আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ১৬:২৬
আগামীতে দুই দেশের সম্পর্ক কিভাবে আরো সুদৃঢ় করা যায় তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সাবের হোসেন বলেন, অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব। কিছু বিষয়ে আমাদের অবস্থান অভিন্ন। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা একসাথে কাজ করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কিভাবে আগামীদিনে আরো এগিয়ে নিতে পারি এবং সেখানে স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান ভিন্ন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দুই দেশ আরো কিভাবে কাজ করতে পারে, মূলত আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।
তিনি আরো বলেন, যখনই আমরা জলবায়ু নিয়ে কথা বলি পরিবেশের বিষয়টি চলে আসে। পরিবেশ, বন এবং জীববৈচিত্র্য। আমরা চাচ্ছি আমাদের আগামীদিনের যে সহযোগিতা সেটাকে হয়তো আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনা চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন-চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব। প্রতি বছরের সেই কর্মসূচির অধীনে আমরা কী কী কাজ করব সেটা থাকবে।
সাবের হোসেন বলেন, ‘এছাড়াও আমরা যেটা বলেছি জলবায়ু অর্থায়নের যে বিষয়টা আছে, সেখানে বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক আছে, এডিবি আছে, আগামীদিনে তারা কিভাবে অর্থায়ন করবে জলবায়ুতে, সেটা একটা বড় বিষয়। কেননা আমরা যদি প্যারিস চুক্তির আলোকে দেখি, সেখানে চাহিদাটা ছিল বিলিয়ন ডলারের। এখন চাহিদা চলে যাচ্ছে ট্রিলিয়ন ডলারে। এখন ট্রিলিয়ন ডলার তো আর কোনো সরকারের কাছ থেকে আসবে না। মূলত আসবে এই ধরনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত থেকে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছু বিষয় আছে, যার একটা স্থায়িত্ব থাকে। আবার কিছু কিছু বিষয় তৈরি হতে পারে, যেটা বিশেষ একটা প্রেক্ষাপটে তাদের কিছু অবস্থান থাকতে পারে। আমরা আজ যেটা আলাপ করেছি, আমাদের যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে, যেগুলো আমরা মনে করি অভিন্ন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে তাদের একটা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তাদের হয়তো কিছু অস্বস্তি ছিল, কিন্তু সেটা তো আমাদের মধ্যে ছিল না। আমরা আমাদের নির্বাচন করেছি। সেটা ওই সময়ের জন্য তাদের একটা অবস্থান ছিল, আমি এভাবে দেখি। এখন তো ওই পর্বটা আর নেই। আবার ইলেকশন হবে চার বা সাড়ে চার বছর পরে। তো এখন তো ইলেকশনের বিষয়টি এই আলোচনায় ভ্যালিডেড না। আর আমি আমি প্রথমেই বলেছি, সামনের দিকে কিভাবে আমাদের সম্পর্কটাকে আরো সুদৃঢ় করব, সেটা নিয়েই মূলত আলোচনা।