২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আমাদের দেশে তো স্পেকিউলেটরের অভাব নেই, তাই বিভিন্ন বক্তব্য শোনা যাচ্ছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন - ছবি - ইন্টারনেট

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা নিজেদের নীতি নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো আর স্পেকিউলেটরের (গুজব রটনাকারী) অভাব নেই। তাই বিভিন্নরকম বক্তব্য শোনা যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, তা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়াকে আরো জোরালো করেছে।

তিনি বলেন, এ দেশে গেল ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই একটি গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া চলছে। হাজার হাজার নির্বাচন হচ্ছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার এসেছে। কিন্তু ২০০৮ সালের আগে যদি দেখেন, যারা ভোটারবিহীন নির্বাচনে জয়লাভ করেছে তাদের কিন্তু এদেশের মানুষ গদিতে রাখেনি, কয়েকদিন পর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময়ই জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখে, জনগণের ভোটের মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় আসতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, যা হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বদ্ধপরিকর। এ জন্য যত ধরনের প্রক্রিয়া দরকার, তা করা হচ্ছে। যাতে কারচুপির ভোট না হয়, সে জন্য ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে। কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে ভোটের কথা বলছে, সে কারণে আমরা স্বচ্ছ ব্যালটবক্স করেছি। আমরা একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি।

তিনি বলেন, এখন সুষ্ঠু নির্বাচন করার দায় নির্বাচন কমিশনের। সরকার তাদের সহায়তা করবে। তবে আমি প্রায়ই বলি, সরকারের আন্তরিকতা ও নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা থাকলেই অনেক সময় অসহিংস নির্বাচন হয় না, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারি দল, বিরোধী দল ও সুশীল সমাজসহ প্রত্যেকের সহযোগিতা দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল