১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকায় অবস্থানরত সাতটি ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সাথে যৌথ সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

সাত বিদেশী কূটনীতিক হলেন- আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো: হাশিম, মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীর, ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এসওয়াই রামাদান, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এশা ইউসেফ এশা আলদুহাইলান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামৌদি।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো: নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিলেন এবং তিনি ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।

বিদেশী কূটনীতিকরা বাংলাদেশের বিগত ১৪ বছরের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিশেষকরে কোভিড-১৯ মহামারী সফলভাবে মোকাবেলায়।

তারা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে এবং সুখে আছে। তাই মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে তারা (দূত) খুশি এবং গর্বিত।

ওআইসি’র কূটনীতিকরা উল্লেখ করেন, প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করছেন এবং তারা ওইসব দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন।

তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সাফল্য কামনা করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তিনি চান নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাকে ভোট দিলে তিনি আবার ক্ষমতায় আসবেন, অন্যথায় নয়। কারণ, তিনি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজের জন্য নয় বরং দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করাই তার লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের জন্য ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ‘এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রায় ৪০ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ৪০ হাজার আবাস বিতরণের পর কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না’, তিনি যোগ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইস্ফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ১৪ বছরেও হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি এসআই গৌতম রায়ের পবিবার মিলান-লিভারপুলের বিদায়, সেমিফাইনালে আটলন্টা-রোমা

সকল