২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এ অঞ্চলের দেশগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল সম্মিলিতভাবে বিকশিত হবে

এ অঞ্চলের দেশগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল সম্মিলিতভাবে বিকশিত হবে - ছবি : সংগৃহীত

এ অঞ্চলের দেশগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল সম্মিলিতভাবে বিকশিত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন যোগদানকারী পাকিস্তানি প্রতিনিধিবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমদ চৌধুরী এবং ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত আসিফ দুররানির সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করেন।
২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২২-এ অংশ নিতে বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী এবং রাষ্ট্রদূত দুররানি।

নৈশভোজে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, সাংবাদিক, একাডেমির সদস্য এবং ঢাকাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।

সফরকারী প্রতিনিধিবৃন্দ বৈশ্বিক চলমান ঘটনা প্রবাহ এবং গতিবিধির পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের রূপরেখা তুলে ধরেন।

পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অভিন্ন বন্ধন রয়েছে এবং জনগণ পারস্পরিক মঙ্গলকামনা করে। তিনি দুই দেশের স্বার্থে এই সখ্যতার বন্ধনকে পুঁজি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পণ্ডিত ও মননশীল নেতাদের আরো বেশি মিথস্ক্রিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করবে। আঞ্চলিক সংযোগের বিষয়ে, তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং আঞ্চলিক দারিদ্র্যের মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল সম্মিলিতভাবে বিকশিত হবে।

রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি সার্ক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে সফল না হওয়ায়, তাদের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার এজেন্ডা পুনর্লিখনের প্রয়োজন, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ এটি এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের উপর বাস্তব এবং গুরুতর প্রভাব ফেলে।

রাষ্ট্রদূত আসিফ দুররানি তার বক্তব্যে আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সার্ক এবং ন্যাম-এর মতো আঞ্চলিক ফোরামের পুনঃসক্রিয়তার বিষয়ে মত দেন এবং বলেন, সার্ক বিশ্বের সবচেয়ে কম সমন্বিত অঞ্চল যেখানে বিশ্বের অন্যান্য অংশে আঞ্চলিক ব্লক বিকাশ লাভ করছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে উত্তরোত্তর সহযোগিতা দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করেন।

প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করেন।

প্রশ্নোত্তর অধিবেশন চলাকালে বেশিরভাগ বক্তা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির তাৎপর্য তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং চিন্তাশীল নেতৃত্বের মধ্যে এই মিথস্ক্রিয়া ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন, যার লক্ষ্য হবে নীতির অভিন্নতা এবং দুই দেশের পারস্পরিক কল্যাণের জন্য সহযোগিতার উপায়গুলো খুঁজে বের করা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 


আরো সংবাদ



premium cement