২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চীনে ইয়ুথ ক্যাম্পে বাংলাদেশীরা

চীনে ইয়ুথ ক্যাম্পে বাংলাদেশীরা - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘সাংস্কৃতিক দূত এবং শক্তি থেকে তারুণ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২৪ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী নর্থ ইস্ট এশিয়ান ইয়ুথ ক্যাম্প অন সাসটেইনেবলক ডেভেলপমেন্ট-২০২২ সফলভাবে চীনের চিয়াংশি প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইয়ুথ ক্যাম্পটি চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশন এবং এসকে গ্রুপের যৌথ স্পন্সরে, ফরেন অ্যাফেয়ার্স অফিস অব চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপলস গভর্নমেন্ট এবং চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিস যৌথভাবে চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নানছাং শহরে আয়োজন করে।

চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট থু আনব এর পরিচালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে বক্তব্য রাখেন, চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লি বিন এবং এসকে গ্রুপের চেয়ারম্যান কুই তাইইউয়ান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চিয়াংশি প্রভিন্সিয়াল ফরেন অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক ঝাও হুই, চায়না সং ছিং লিং ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক বিনিময় ও সহযোগিতা বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ফ্যাং শিনওয়েন, এসকে গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট থিয়ান ফুশি, চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স এর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর লিউ শিয়াওলি, চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অফ ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর লিউ কিয়ান, নানছাং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর, গুও ঝাংহুয়াসহ অন্য অতিথিবৃন্দ।

লি বিন তার বক্তৃতায় বলেন, সভ্যতাগুলোকে বিনিময়ের মাধ্যমে সংহত এবং একীকরণের মাধ্যমে অগ্রগতি করতে হবে। এই ক্যাম্পে তরুণ বন্ধুরা প্রাণবন্ত এবং বাস্তব চীন সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন কার্যকলাপে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। গভীর আদান-প্রদান, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং বোঝাপড়া ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে প্রত্যেকেরই নতুন লাভ সুযোগ রয়েছে। আমি তরুণ বন্ধুদের স্বাগত জানাই চীনের চারপাশে ঘুরে দেখার জন্য, সাংস্কৃতিক বার্তাবাহক এবং বন্ধুত্বের সেতু হয়ে চীন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের প্রচার করে এবং মানুষে মানুষে বন্ধন বাড়ায়।

কুই তাইইউয়ান বলেন, তরুণ প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি এবং পরিবেশ থেকে এসেছেন। এখান থেকে তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে, চীন সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া গভীর হবে। আশা করি তরুণ প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পর, তারা সর্বদা বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষাকে উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব নিয়ে প্রচার করবে, এবং মানবজাতির জন্য একটি ভাগ করা ভবিষ্যত সহ একটি সম্প্রদায় গঠনে অবদান রাখতে পারে।

শিক্ষার্থীরা নানছাং লিনেন টি রিসার্চ পার্ক, ভিআর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, নানছাং পোরসেলিন প্লেট আর্ট মিউজিয়াম, নানছাং কম্প্রিহেনসিভ বন্ডেড জোন, নানচাং জাপান-চায়না তাকামাতসু ফ্রেন্ডশিপ হল এবং অন্যান্য জায়গা পরিদর্শন করে।

তরুণ ক্যাম্পাররা বলেন, এই যুব শিবিরের বিনিময় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় লাভ হল চীনা সংস্কৃতি এবং চিয়াংশির অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কে একটি নতুন উপলব্ধি। আমরা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু শিখেছে, অর্জিত বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং কৌশল ভবিষ্যতে আমরা আমাদের নিজস্ব দেশে কাজে লাগাতে পারবে এবং বিশ্বের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

ইয়ুথ ক্যাম্পে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, রাশিয়া, ইয়ামেন, পাকিস্তান, কাজাখিস্তান, জাম্বিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি এবং চীন থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী এই যুব শিবিরে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।

 


আরো সংবাদ



premium cement