২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্কে রাজনীতির চেয়ে ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ

বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্কে রাজনীতির চেয়ে ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ -

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যবসা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের বিবেচনায় চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অংশীদার। রফতানি পণ্যের কাঁচামাল, এক্সেসরিজসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা রয়েছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কে রাজনীতির চেয়ে ব্যবসার গুরুত্ব বেশি।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর সময়ও বাংলাদেশের রফতানিমুখী শিল্প কলকারখানা চালু রাখার জন্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাপ্লাই চেইন চালু রেখে সহযোগিতা করেছে চীন। বিশ্বব্যাপী এখন বাণিজ্য কূটনীতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য প্রতিটি দেশ এখন কূটনীতিকে ব্যবহার করছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। ফলে চীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার।

বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার ঢাকায় ইআরএফ কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (বিসিসিসিআই) এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথ ভাবে আয়োজিত ‘বেস্ট রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ড অন বাইলেটারেল রিলেশনশীপ বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড চায়না’ শীর্ষক পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।

ইআরএফের উদ্যোগের প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রচার মাধ্যম একটি দেশের অর্থনীতি, ব্যাবসা-বাণিজ্য এবং উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি, আগামী দিনগুলোতেও দেশের স্বার্থে প্রচার মাধ্যম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। দায়িত্বশীল রিপোর্টিং এর জন্য যারা আজ পুরষ্কৃত হচ্ছেন তারা আগামীতে আরো উৎসাহ নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের উন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং জাতিসঙ্ঘের ৭৬ তম অধিবেশনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, চীন বৈশ্বিক উন্নয়নে কাজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সবুজ ও স্বাস্থ্যসম্মত বৈশ্বিক উন্নয়ন চায় চীন। মানব কল্যাণ এবং কাউকে পেছনে ফেলে নয় এমন উন্নয়ন চায় চীন। এজন্য আঞ্চলিক উন্নয়ন ও বিভিন্ন উদ্ভাবনে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশও চীনের এই বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ থেকে সহায়তা পাবে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। আর ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩৫ তম অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হবে।
সূত্র : ইউএনবি

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement