২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার টিকা ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ ঘোষণার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

- ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে কোভিড-১৯ টিকা ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী টিকা দেয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলিকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট : এন্ডিং দ্য প্যানডেমিক এন্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেলথ সিকিউরিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্যে একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এদিন সেখানে স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ভার্চুয়াল এ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে ভাষণে জো বাইডেন কোভিড-১৯ মহামারী অবসানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী ও বেসরকারি নেতাদেরর প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জার্মান চ্যান্সলর এঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা ও জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিকা লাভের সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে এমন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে টিকার স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দেয়া উচিত। হোয়াইট হাউস আমন্ত্রিতদের জানিয়েছে, এ বছরের শেষের দিকে ও ২০২২ সালের শুরুতে ফলো-আপ ইভেন্টগুলো অংশগ্রহণকারীদেরকে তাদের প্রতিশ্রুতির জন্য দায়বদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনধাপ পন্থা অবলম্বন করেছে। ‘প্রথমত, জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আমাদের নাগরিকদের, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষায় সহায়তা প্রদান করা ও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরুদ্ধার করা। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা প্রথমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও সামাজিক সুরক্ষা নেট কর্মসূচির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দ্বিতীয়ত টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে, যাতে উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। তৃতীয়ত, তিনি বলেন যে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও কম কার্বণ নিঃসরণের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ করেছি, দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন সুবিধাভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫ মিলিয়নের বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোককে টিকা না দেয়া পর্যন্ত আমরা প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছি।’

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement