২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপনে উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় জাপান

রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপনে উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় জাপান - ছবি - সংগৃহীত

বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে কী ঘটছে তা অনুমান করা খুব কঠিন। এমনটাই উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, উপযুক্ত সময় বুঝে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে উত্থাপন করবে জাপান। রোববার কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে চেষ্টা করবে জাপান। সামরিক অভ্যুত্থানের পর বর্তমানে দেশটিতে কী ঘটছে তা অনুমান করা খুব কঠিন। মিয়ানমার এখন কোন দিকে চলছে সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য নেই। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে কেউই স্পষ্ট ধারণা দিতে পারছে না।’

রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই সমাধান জরুরি জানিয়ে ইতো নাওকি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই সমাধান খুঁজছে জাপান। কেননা, এই সংকটের সমাধান পুরো অঞ্চলে ভবিষ্যতে স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক সংলাপটি আয়োজন করে। সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।

আলোচক প্যানেলে ছিলেন জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, টোকিও’র স্যাক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মাসাকা ওহাশি, সাংবাদিক ও লেখক মনজুরুল হক, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক পলিসির ডীন অধ্যাপক তাকাহারা আকিও এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।

কক্সবাজার ও ভাসানচর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কক্সবাজার এবং ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুক্ত করা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ শিগগিরই ভূমিকা রাখবে বলে জাপান আশা করছে। টেকসই সমাধানের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাসান চর প্রকল্পটি সফল হতে চলেছে। অন্যথায় পুরো প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারত।’

এ সময় রাষ্ট্রদূত ঢাকা-টোকিও’র বহুমুখী সহযোগিতার দৃঢ় অংশীদারিত্ব উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য পাঁচটি চ্যালেঞ্জের কথা বলেন। চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ-জাপান কৌশলগত অংশীদারিত্ব উন্নয়ন করা, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করা, জনগণের মধ্যে বিনিময় সম্প্রসারণ, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো এবং এই অঞ্চলে ও এর বাইরে বাংলাদেশের সম্মান বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করা।

বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথের (বিগ-বি ইনিশিয়েটিভ) প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিগ-বি শুধুমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য নয়, সমগ্র বে অব বেঙ্গল অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’


আরো সংবাদ



premium cement