২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রোহিঙ্গা ইস্যু না থাকায়

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে বাংলাদেশ কেন ভোটদানে বিরত ছিল

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত বাংলাদেশ - ছবি : সংগৃহীত

রোহিঙ্গা ইস্যু অন্তর্ভুক্ত না থাকায় জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার পরিস্থিতির ওপর আনা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং এর সমাধানের কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ না থাকায় বাংলাদেশ গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সঙ্কট, জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারে উদ্বেগ জানিয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের মুখ্য ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এতে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

প্রস্তাবটির পক্ষে ১১৯ ভোট এবং বিপক্ষে একটি ভোট পড়ে। কেবলমাত্র বিলারুশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, রাশিয়াসহ ৩৬টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

গত রাতে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডাসহ একটি কোর গ্রুপ জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। আসিয়ান দেশগুলোর সাথে আলোচনা করে কোর গ্রুপ প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। আসিয়ান নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি ব্যাংককে একটি সম্মেলনে মিলিত হয়, যাতে মিয়নামারের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও ছিলেন। সম্মেলনে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নেয়ার পর মিয়ানমারের পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য পাঁচ দফা সমঝোতা হয়, যা জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু প্রস্তাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোনো সুপারিশ বা পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতে প্রস্তাবে কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি। সমন্বিত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের প্রতিশ্রুতিও প্রস্তাবে অনুপস্থিত ছিল। আর এ কারণে বাংলাদেশ প্রস্তাবটিতে ভোটদানে বিরত থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement