২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার মধ্যেও ১ লাখ ১৫ হাজার পাসপোর্ট বিতরণ মালয়েশিয়া দূতাবাসের

করোনার মধ্যেও ১ লাখ ১৫ হাজার পাসপোর্ট বিতরণ মালয়েশিয়া দূতাবাসের - ছবি : নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় চলমান অবৈধদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া ‘রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামে’ অংশ্রগ্রহণ এবং বৈধভাবে বসবাসরত কর্মীদের বার্ষিক ভিসা নবায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পাসপোর্ট ও তার মেয়াদ থাকা আবশ্যক। এজন্য প্রবাসীদের নতুন পাসপোর্ট ডেলিভারি এবং পুরাতন পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে চাহিদা বেড়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারীতে বছরজুড়ে বহাল রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি)। স্বাস্থবিধিসহ বিভিন্ন বিধি নিষেধের মধ্যেই কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১ লাখ ১৫ হাজার পাসপোর্ট বিতরণ করেছে। করোনাকালে ঝুঁকি নিয়ে দূতাবাসকর্মীরা কাজ অব্যাহত রাখতে গিয়ে ইতোমধ্যে ২ দফায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

২০২০ সালে প্রথম দফা, এখন ২০২১ সালে এসে সম্প্রতি আবারো পাসপোর্ট শাখার ৫০ ভাগ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও প্রবাসীদের প্রয়োজনীয়তার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। তবে এই মুহূর্তে প্রবাসীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকায় আমপাং পাসপোর্ট শাখা বুধবার (৯ জুন) থেকে সরাসরি পাসপোর্ট বিতরণ না করে শুধুমাত্র পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। বুধবার দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় কিছু কিছু প্রদেশ আছে সেখান থেকে কুয়ালালামপুর দূতাবাসে আসতে প্রবাসীদের কয়েক দিন সময় লেগে যায়। এসব প্রদেশে দূতাবাসের কনস্যুলেট অস্থায়ী শাখা থেকে পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়াও চাকরির ছুটি সমস্যা এবং লকডাউন বিধিনিষেধ, যাতায়াত প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে দূতাবাসে আসতে সমস্যায় তাদের জন্য পোস লাজু (ডাকযোগে) নিজ ঠিকানায় পাসপোর্ট পাঠানো হচ্ছে।

প্রবাসীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি নতুন চালু হওয়া এই পোস্ট অফিস সার্ভিসের মাধ্যমে এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত এই মাসে ১০ হাজার পাসপোর্ট প্রবাসীদের নিজ ঠিকানায় ডেলিভারি করা হয়েছে। ১৭টি পোস্ট অফিসের শাখা থেকে প্রবাসীরা হাইকমিশনে না গিয়ে নিজ ঠিকানায় পাসপোর্ট রিসিভ করতে পারবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার কাউন্সেলর মো: মশিউর রহমান তালুকদার বলেন, রিক্যালিব্রেশনের ফলে একযোগে অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষাধিক পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়েছে, যা আমরা রাত-দিন ছুটির দিনসহ কাজ করে দ্রুততম সময়ে শেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে প্রিন্টের জন্য ঢাকা পাঠিয়েছি, ঢাকাতেও এত বিপুলসংখ্যক পাসপোর্ট একত্রে প্রিন্ট করতে পারে নাই বিভিন্ন কারণে। ঢাকা থেকে মূলত পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে আসতে দেরি হলেও আমরা করোনার ঝুঁকি নিয়েও সব ধরনের পদ্ধতিতে পাসপোর্ট বিতরণ করছি, প্রতিদিন ১১০০ থেকে ১২০০ পিস পাসপোর্ট এসওপি মেইনটেইন করে ডেলিভারি দিচ্ছি।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো: গোলাম সারোয়ার পোস্ট অফিস সার্ভিস উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে এই সেবা দেশটির ৬ প্রদেশে চালু করা হয়েছে পর্যায়ক্রমে সব প্রদেশেও চালু করা হবে। তিনি পাসপোর্ট বিষয়ে পৃথক আরেকটি বক্তব্যে বলেন, পাসপোর্ট শাখায় লোকবল সঙ্কট রয়েছে পাসপোর্ট সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে লোকবল বাড়ানো হয়েছে, আরো বাড়ানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement