২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট : প্রথম দিনেই ৭টি বাতিল

প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট : প্রথম দিনেই ৭টি বাতিল -

লকডাউনের কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার থেকে পাঁচটি দেশে বিদেশগামী প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিমানের বিশেষ ফ্লাইট শুরু করার কথা ছিল। এরই মধ্যে
অবতরণের অনুমতি না পাওয়া ও যাত্রী সঙ্কটের কারণে ৭টি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনে মোট ১৪টি ফ্লাইট আসা ও যাওয়ার কথা ছিল।

এর মধ্যে ১০টি যাওয়া ফ্লাইটের মধ্যে ৫টি বাতিল করা হয়। আর আসার ৪টি ফ্লাইটের মধ্যে দুটি বাতিল করা হয়। আসা-যাওয়া মিলিয়ে মোট ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

ল্যান্ডিং পারমিশন পেতে বিলম্ব ও যাত্রী স্বল্পতায় ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে বলে জানান শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল-আহসান।

তিনি বলেন, আশা করি রোববারের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে। ফ্লাইটও বাড়বে।

শ্রমবাজার অধ্যুষিত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে এই ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছিল বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক। মূলত এসব দেশে নিয়মিত পরিচালিত ফ্লাইটগুলোই লকডাউনের সময়ে বিশেষ ফ্লাইট হিসেবে পরিচালিত হওয়ার কথা।

এর আগে গত বুধবার সচিব পর্যায়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পাঁচটি দেশে বিদেশগামীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শনিবার থেকে এই বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত আসে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, বিভিন্ন উড়োজাহাজ কোম্পানির নির্ধারিত যেসব ফ্লাইট আছে, সেগুলোই বিশেষ ফ্লাইট হিসেবে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছে। আর নিষেধাজ্ঞার প্রথম তিন দিনে যেসব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, ওই ফ্লাইটের প্রবাসী যাত্রীদের তালিকা তৈরি করবে প্রবাসী মন্ত্রণালয়। তারপর তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলাদা ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো: মাহবুব আলীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেবিচক চেয়ারম্যান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমানবন্দরে আনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির। আর যারা এসব দেশ থেকে (প্রবাসী কর্মী) জরুরি প্রয়োজনে ফিরতে চান তাদের সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।

কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে তারা দেশে আসতে পারবেন। এর আগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে অন্তত ৩০ হাজার পুরোনো ও নতুন কর্মী বিদেশে গিয়ে কাজে যোগদান অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন। জনশক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা বিদেশে যাওয়ার ফ্লাইট খুলে দেয়ার দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement