১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৭ মার্চের ভাষণ উদযাপন

-

বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে যথাযথভাবে উদযাপন করেছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে বাংলাদেশে দূতাবাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।

রোববার সকালে রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু করেন। এরপরে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূতসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফুলের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর পাঠ করা হয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বার্তা।

বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় দূতাবাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য; বঙ্গবন্ধুর কূটনীতি ও বৈদেশিক নীতি” শীর্ষক অনলাইনভিত্তিক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ড. এম নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় “৭ই মার্চের ঐতিহাসিক তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তব্য প্রদান করে বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, বর্তমান বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল-এর
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

মূল আলোচনায় অধ্যাপক ডা সৈয়দ আনোয়ার হুসেন বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণ বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক তীক্ষ্ণতা, দক্ষতা ও কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা এবং পাশাপাশি তাঁর অতিশয় শক্তিশালী কারিশমার কারণে বঙ্গবন্ধু নীতি নির্ধারণ ও নতুন দেশ গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন কিছু উল্লেখযোগ্য বক্তব্য দিয়েছেন যা বাংলাদেশের বিদেশ নীতিকে পূর্বনির্দেশিত করেছিল।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান, চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরোর প্রধান ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি, বেইজিং বিদেশ অধ্যায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চাং ছিয়ং।

রাষ্ট্রদূত মাহবুবুজ্জামান তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে তুলে ধরেন যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে উত্সাহিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, এই বক্তব্য রেখে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুর ও দিক নির্ধারণ করেছিলেন এই বলে যে, “এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”।

চায়না মিডিয়া গ্রুপের ঢাকা ব্যুরোর প্রধান ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের মূল মন্ত্র হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ ভাষণ স্বাধীনতার এক অমর কাব্য হয়ে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান তিনি।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, চীনে বাংলাদেশী শিক্ষক ড. আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ-চীন শিল্প ও বণিক সমিতি যুগ্ম সম্পাদক আল মামুন মৃধা। বেইজিংয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা হলেন, আভা সু, হিয়া, দিশা ও অনুপমা ইয়াং।

বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী, বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের সদস্য, চীনের সরকারি কর্মকর্তা, চীনা ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে অংশ নেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল