আরো ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে আজ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১০:২৭, আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১০:২৮
চুক্তি অনুযায়ী অক্সর্ফোড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি আরো ৫০ লাখ করোনার ভ্যাকসিন আজ সোমবার বাংলাদেশে আসবে। রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, তিন কোটি ডোজের মধ্যে ২০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। চুক্তি অনুয়ায়ী কাল (আজ) আসবে ৫০ লাখ। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি টিকা আসবে। এসব ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরের ধাপে টিকা এলে ঢাকাসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোথায় তা রাখা হবে সেটিও ঠিক করে রাখা হয়েছে।
জাহিদ মালেক জানান, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নার্সদের থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ভ্যাকসিন কীভাবে প্রয়োগ করা হবে, সেজন্য আমাদের জাতীয় কমিটি আছে। তারা এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ করেছে তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে কিছু কথাবার্তা হচ্ছে। অনেকে বলছেন ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে। অনেক ওষুধেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই এই ভ্যাকসিনে যে সেটি হবে না, তা বলতে পারছি না। অনেক ভ্যাকসিনেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। করোনা ভ্যাকসিনে যদি কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সেজন্য আমরা প্রতিটি হাসপাতালে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রেখেছি বলেন মন্ত্রী।
ভ্যাকসিন গ্রহণে মানুষকে কীভাবে আশ্বস্ত করা হবে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, এই পর্যন্ত যতগুলো ভ্যাকসিন পৃথিবীতে রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি, এসব ভ্যাকসিনের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়েছে। ভারত ও যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ ভ্যাকসিন প্রয়োগ হয়েছে। তাই এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আগে ফ্রন্টলাইনারদের ভ্যাকসিন দেব। পর্যায়ক্রমে যাদের ভ্যাকসিন লাগবে তাদের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন কাউকে জোর করে দেওয়া হবে না। ভ্যাকসিন স্বাধীনভাবে যে নিতে চায় তাকেই দেওয়া হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখনো বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি কেউ বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন দিতে চায়, সে বিষয়ে আমরা পরে দেখব।’
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৯ জন। এরমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন আট হাজার ২৩ জন। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৮টি। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা